Madan Mitra: ‘রাত ২ টোর পর খেলা হলে কী করব… আমি কি ফেলুদা?’, কামারহাটি নিয়ে বিস্ফোরক খোদ মদন মিত্র
Madan Mitra: মদন বলেন, 'এমএলএ কি জমিজমার হিসেব রাখে? কত সেটিং হল, এসব দেখা আমার কাজ নয়। পুরসভার কাজ। আমি বলতে পারব না।' আর জয়ন্তের বাড়ি সম্পর্কে মদন বলেন, "বিনা পারমিশনে ওরকম প্রাসাদের মতো বাড়ি উঠল, কেউ জানতেও পারল না! এটা অদ্ভুত।"
কামারহাটি: জয়ন্ত সিং-দের নাকি আগেই সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। এমনটাই দাবি করেছেন বিধায়ক মদন মিত্র। অর্থাৎ কামারহাটিতে কী কী দুষ্কর্ম চলছে, তা নজর এড়ায়নি তাঁর। শুধু কি হামলা বা ভাঙচুরের অভিযোগ! উঠেছে জমি দখল থেকে শুরু করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন। তাঁর দাবি, কামারহাটিতে এইসব ঘটনা কোনও ব্যাপার নয়।
মদন বলেন, ‘এমএলএ কি জমিজমার হিসেব রাখে? কত সেটিং হল, এসব দেখা আমার কাজ নয়। পুরসভার কাজ। আমি বলতে পারব না।’ আর জয়ন্তের বাড়ি সম্পর্কে মদন বলেন, “বিনা পারমিশনে ওরকম প্রাসাদের মতো বাড়ি উঠল, কেউ জানতেও পারল না! এটা অদ্ভুত।”
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে মদন মিত্র বলেন, “কামারহাটিতে বেআইনি নির্মাণ, পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করা কোনও ফ্যাক্টরই না। পাড়ায় পাড়ায় জুয়া-সাট্টার আড্ডাও কোনও ব্যাপার নয়।” তাহলে বিধায়ক হিসেবে কিছু বলছেন না কেন? মদন বলেন, “রাত ২ টোর পর খেলা হচ্ছে, আমি কি রাত ২টোর পর গিয়ে ধরব? আমি কি ফেলুদা? স্থানীয় প্রশাসনের ব্যাপার এগুলো। বিধায়কের হাতে কোনও প্রশাসন নেই। আমি বক্তৃতা দিতে পারি।”
মদন দাবি করেছেন, এই সব বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কোনও লাভ হয়নি। তবে তালতলা স্পোর্টিং ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুশি মদন মিত্র। তাঁর দাবি, ওই ক্লাবেই অপরাধের ঘটনাগুলো ঘটছিল। উল্লেখ্য, ওই তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবেরই সেক্রেটারি ছিলেন জয়ন্ত সিং।