NIA Probe in Bomb Recovery Case: কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে, অর্জুনের বাড়ির কাছে বোমা উদ্ধারে ফের ঘটনাস্থলে NIA
Bomb Recovery: ১২ মার্চ সাংসদের জগদ্দলের বাড়ির কাছেই একসঙ্গে ৪৫ টি ক্রুড বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জগদ্দল পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের ছেলে নমিত সিংকে গ্রেফতার করেছিল।
ব্যারাকপুর : অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমা রাখার ঘটনায় সোমবার ফের তদন্তে এলেন এনআইএ আধিকারিকরা। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। চলতি বছরের ১২ মার্চ সদ্য তৃণমূলে ফেরা অর্জুন সিং বাড়ির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বোমা রাখা ছিল। সেই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। তখন অর্জুন সিং ছিলেন বিজেপি সাংসদ। এখন তিনি দল বদলে তৃণমূলে। এদিকে ওই ঘটনায় গত সপ্তাহেই এক স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ১২ মার্চ সাংসদের জগদ্দলের বাড়ির কাছেই একসঙ্গে ৪৫ টি ক্রুড বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জগদ্দল পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের ছেলে নমিত সিংকে গ্রেফতার করেছিল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই অর্জুন সিং কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, এনআইএ খুব শ্লথ গতিতে তদন্ত করছে। আর সেই কারণে আবারও ভাটপাড়া ও জগদ্দল এলাকায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। অর্জুন বাবুর সেই অভিযোগর পর গত সপ্তাহেই নমিত সিংকে গ্রেফতার করেছে। গত সপ্তাহে এনআইএ-র পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল হানা দেয় কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের বাড়িতে। সেখানে প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে নমিত সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্র মারফত খবর। আর এরপরই গ্রেফতার করা হয় নমিত সিংকে।
১২ মার্চ সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির খুব কাছেই একটি জায়গা থেকে ওই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, শাসক দল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর আক্রমণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই বোমা উদ্ধারের তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশই এই মামলাটির তদন্ত করছিল।
তবে সাংসদ এখন আর বিজেপির সদস্য নন। তিনি এখন তৃণমূলেরই এক সদস্য। এদিকে যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তিনিও শাসক দলের কাউন্সিলরের ছেলে। ফলে অর্জুন সিং এবং তৃণমূলের জন্য বিষয়টি বেশ অস্বস্তির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিকে এনআইএর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সোমবার ফের একবার ঘটনাস্থলে আসায় সেই অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।