কেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজি? কারণ দর্শাল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট

Jagaddal: সাংসদ অর্জুন সিং ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। আর তার ছেলে বিধায়ক পবন সিং ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে সিআইএসএফ।

কেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজি? কারণ দর্শাল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 2:05 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: সাতসকালে সিআইএসএফ প্রহরার দেড় ফুটের মধ্যেই সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজি। ঘটনার নিরাপত্তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এই প্রথমবার নয়, ভোট পরবর্তী পর্যায়ে জুলাই মাসেও অর্জুনের বাড়িতে বোমাবাজি হয়। সিআইএসএফ- এর উপস্থিতেই বারে বারে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সাংসদ অর্জুন সিং এবং তাঁর পুত্র বিধায়ক পবন সিং-এর নিরাপত্তা নিয়ে।

সাংসদ অর্জুন সিং ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। আর তার ছেলে বিধায়ক পবন সিং ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে সিআইএসএফ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সাংসদের বাড়িতে এবং তাঁর বাড়ির দরজায় মাছিও বসতে পারে না! কেউ প্রবেশ করতে গেলে তাঁর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং, সারা শরীর চেকিং করা হয়।

এমনকি সবার পকেট চেকিং হওয়ার পর তবেই প্রবেশের অনুমতি মেলে। বাড়ির সামনে ‘নো পার্কিং জোন’। সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই অবস্থায় দুস্কতীরা কিভাবে বারে বারে বোমাবাজি করে? নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদের পুত্র পবন সিংও।

পবন সিং বলেন, “সকালে এমনিতেই এলাকায় ভিড় থাকবেন। গেটের সামনে বোমা মারা হয়। বাচ্চা ছেলেরা এসব করছে। সিআইএসএফ যদি পাল্টা গুলি চালায় প্রতিরোধের স্বার্থে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দোষ হয়ে যাবে।”

তবে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি নর্থ জোন শ্রীহরি পান্ডে বলেন, দু’জনকে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে চায়ের দোকানে মারামারি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানান তিনি। তবে তিনি জানান তদন্তের জন্য প্রয়োজনে কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনের গলিতে বুধবার সকালে ১৬-১৭ জন যুবক ভিড় করেন। ঘিঞ্জি হয়ে যায় এলাকা। এরপর ঠিক ৬.৩২ নাগাদ দুটি বাইক আসে। বাইক থেকেই পরপর ২-৩ টি বোমা ছোড়া হয় অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে। দেড় ফুট দূরত্বেই ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ান। তাঁদের সামনেই বোমা মেরে পালিয়ে যান যুবকরা।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা রুটিন ব্যাপার। অর্জুন সিং ও তাঁর পরিবারকে উত্তপ্ত করতে শাসকদল এটা করছে। ওঁ টক্কর দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ একদিন এর জবাব দেবে।”

টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর দাবি, রাজ্যে যে এখনও হিংসা অব্যাহত। সাংসদের বাড়িতেই সাতসকালে বোমাবাজি হল। এর থেকে ভয়ঙ্কর আর কী আছে! সাংসদের নিরাপত্তা ব্য়বস্থা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

ভোট উত্তরোত্তর সময় থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া-জগদ্দল এলাকা। মে মাসেও জগদ্দলে অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। পুলিশের সামনেই অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে।

জগদ্দলে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বোমাবাজি হয়েছে। মে মাসেই জগদ্দলের রুস্তম গুমটি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। দুস্কতীরা ১৫-১৬ টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

দফায় দফায় এইভাবে বোমবাজির ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন। এদিন ঘটনার সময়ে দিল্লিতে ছিলেন অর্জুন সিং। পরে ফোন পেয়ে তিনি সকালেই বিমানে ফিরে আসেন কলকাতায়।

আরও পড়ুন: Behela Murder: কীভাবে তপনের আংটিতে রক্তের দাগ? একাধিক অচেনা ব্যক্তির ফোন! পর্ণশ্রী খুনে জটিল ধাঁধা