Barasat Chaos: মাটি ফেলে পাঁচিল দিয়ে ঘিরেই চলছে ‘নদীচুরি’
Barasat: স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে আস্ত নদী দখল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সচীন ঘোষ। সম্প্রতি বিজেপির তোলা এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় স্থানীয় রাজনীতি।
উত্তর ২৪ পরগনা: দিনে দুপুরে চুরি যাচ্ছে ‘প্রকৃতি’। হ্যাঁ, নজর এবার নদী চুরির ঘটনায়। দিনে দুপুরে দেগঙ্গার বিদ্যাধরী নদী চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন জলঘোলা হচ্ছে। মাটি ফেলে নদীর মাঝ বরাবর দেওয়াল তুলে এগিয়ে চলছে দখলদারের থাবা। ‘আক্রান্ত’ নদী নিয়ে নির্বিকার প্রশাসন। তাই সোহাই শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বঙ্কুর মোড় সংলগ্ন নদী খুঁজে পাওয়াই দায়!
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে আস্ত নদী দখল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সচীন ঘোষ। সম্প্রতি বিজেপির তোলা এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় স্থানীয় রাজনীতি। তাদের বক্তব্য, ওই এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যাধরী নদী মাটি ফেলে বোজানো হচ্ছে। তারপর পাঁচিল দিয়ে সেই এলাকা ঘিরে চলছে নির্মাণের কাজ।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘কয়লা চুরি, গরু চুরি, তৃণমূল জামানায় কিছুই বাদ নেই। এবার আস্ত বিদ্যাধরী নদীটাই চুরি করছে শাসকদলের মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী। রাতারাতি এই ধরনের কাজ হয়নি। দিনের পর দিন ধরে চলেছে নদী দখলের কাজ। সবকিছু জেনেও প্রশাসন চুপ। কারণ শাসকদলের হাত রয়েছে দকলদার সচীন ঘোষের মাথায়। একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি। কেউ বিরোধিতা করলেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করতে পারেন না।’
অপরদিকে, এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘জোর করে নদী দখলের কাজ চলছে। আমরা প্রতিবাদ করলে ভয় দেখায়। তাই আমরা কিছু বলি না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জলধর মণ্ডল বলেন, ‘মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে ওই নদী। কিন্তু সেখানে যে এই ধরনের অবৈধ কাজ চলছে তার কোনও তথ্য আমার কাছে ছিল না। কেউ আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। এত ব্যক্তিগতভাবে আমি বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তাছাড়া স্থানীয় দুজন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন ওই এলাকায়। তারা বিজেপির সদস্য। কোনও প্রতিবাদ বা অভিযোগ পঞ্চায়েতে জমা করা হয়নি।’
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিযুক্ত সচীন ঘোষকেও। তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দখল করার বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু পরমুহূর্তেই অস্বীকার করে বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি। দেগঙ্গা ভূমি সংস্কার অধিকরণ ডক্টর এর আধিকারিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নদী দখল করার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। দ্রুত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’