School Reopen: স্কুল খুলতেই বিপত্তি! মোবাইল নিয়ে ক্লাসে ছবি তোলার অভিযোগে ছাত্রকে মারের পর মার শিক্ষককের
Basirhat: আহত ছাত্রের দাবি, সে শুধুই ক্লাসে বসে ফোন ব্যবহার করছিল। কারোর ছবি তোলেনি।
বসিরহাট: কয়েকদিন আগেই খুলেছে স্কুলের তালা। দীর্ঘ প্রায় কুড়ি মাস ফের পড়ুয়াদের কলতান যাচ্ছে স্কুলগুলিতে। বিদ্য়ালয় খোলার প্রথমদিনই জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে উঠে এসেছিল আবেগপ্রবণ ছবি। কোথাও ছাত্রদের হাতে ফুল দিয়ে শিক্ষকদের স্বাগত জানাতে দেখা যায় বিদ্যালয়ে কোথাও আবার দীর্ঘদিন না দেখতে পওয়া পড়ুয়াদের ফের চোখের সামনে একরাশ হাসি দিয়েই ছাত্রদের ক্লাসে স্বাগত জানাতে দেখা যায় শিক্ষকদের। কিন্তু হাড়োয়ার এই বিদ্যালয়ের ঘটনা উল্টো। এখানে ছাত্রকে ফুল দেওয়া তো দূরের কথা উল্টে মোবাইল নিয়ে আসায় শিক্ষকের বেধড়ক মারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল ছাত্রকে।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়োয়া পি. জি. হাই স্কুলের ঘটনা। সবই ঠিক ঠাক চলছিল। অভিযোগ, স্কুলে এসে মোবাইলে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয় ইংরাজি শিক্ষকের সঙ্গে। এরপরই তার হাতে বেধড়ক মার খেলেন বছর চোদ্দর দীপন সরকার। দশম শ্রেণীতে পড়ে দীপন।
অভিযুক্ত শিক্ষককের নাম পিনাকী দাস। দীপনের অভিযোগ, গতকাল সে ও তার কয়েকজন সহপাঠী স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। কিন্তু ক্লাস চলাকালীন তারা সেই ফোন ব্যবহার করে না। এবার পিনাকীবাবু সন্দেহ করেন যে দীপন ও তার সহপাঠীরা মোবাইলে ছবি তুলেছে। ব্যাস! এরপরই বাধে বিপত্তি। দীপনকে শিক্ষক অফিসে ডেকে নিয়ে যান ইংরেজির ওই মাস্টার মশাই। অভিযোগ সেখানে গিয়েই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি।
দীপন সরকারের দাবি, সে মোবাইলে ছবি তুলেছে কি তোলেনি তা যাচাই না করেই শিক্ষক তাকে মারধর করেছেন। ইতিমধ্যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে দীপন বলেন, “টিফিনের সময়ে আমরা সব বন্ধুরা মিলে গল্প করছিলাম। সেই সময় আমার অন্য বন্ধুরা আর একজনের জামাকাপড় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার হাতে ফোন ছিল। আমি বসে সেই ফোন ঘাঁটছিলাম।কিন্তু আমার বন্ধু ভেবেছে যে আমি ওর ছবি তুলেছি। ও গিয়ে সোজা স্যারকে বলে দেয়। আর তারপরই স্যার এসে আমায় কোঞ্চির বারি মারে।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে পুরো বিষয়টি জানার জন্য ওই শিক্ষক এবং ছাত্রকে ডাকা হয়েছে। দুজনের কাছ থেকেই গোটা বিষয়টি জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ছাত্রের পরিবার জানাচ্ছে, আহত ছাত্রকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসা করানো হয়। তার শরীরে যথেষ্ট মারের আঘাত রয়েছে। স্কুল খোলার পরে পঠন-পাঠন শুরু হতেই স্কুলে এই ধরনের ঘটনায় বেশ চিন্তায় ফেলেছে বাকি ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকদের।
এদিকে, প্রশ্ন উঠছে ওই ছাত্র কীভাবে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করলো ক্লাসরুমে? স্কুলের গাফিলতি ছিল নাকি ছাত্রছাত্রীরা তাদের সেই সিকিউরিটি জোন এড়িয়ে চুরি করে মোবাইল নিয়ে ক্লাসে ঢুকে পড়লেন? সবটাই অজানা।