TMC Inner Clash: দুই লবির ক্ষমতা প্রদর্শনের ‘লড়াই’, একুশের সমাবেশের আগে প্রকাশ্যে শাসকদলের ‘অন্তর্কলহ’
TMC Inner Clash: বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় সহ সভাপতি তরুণ ঘোষেরা এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ।
উত্তর ২৪ পরগনা: একুশে জুলাইয়ের আগেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চাতে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই সভা ঘিরে অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসে। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ। বাগদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তিন সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বও উপস্থিত ছিল। কিন্তু এই মঞ্চে দেখা মেলেনি বিধায়কের। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় সহ সভাপতি তরুণ ঘোষেরা এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক । তরুণ ঘোষেদের বক্তব্য, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁদের।
বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘ধর্মের ষাড়’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা সভাপতি আবারও তাঁর বক্তব্যের পক্ষেও সওয়াল করেন। কিন্তু বিরোধী দলকে কটাক্ষ করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের চাঙা করতে গিয়েও সামনে আসে দলেরই গোষ্ঠীকোন্দল। জেলা সভাপতি যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে গরম গরম ভাষণ দিচ্ছিলেন, সভায় দেখা যায়নি বাগদার বিধায়ক ,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতিকে।
সে প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ বলেন, “আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সবার আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই কারণে তাঁরা আসেননি ।”
যদিও অন্য পক্ষের গলায় শোনা যাচ্ছে একেবারেই ভিন্ন সুর। এই বিষয়ে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ বলেন, “আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি । কেন এই সভা করা হল, তা আমাদের জানা নেই।”
এই বিষয়ে বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের দুই লবিত শক্তি প্রদর্শনের জন্য আজকের পাল্টা সভা এটি।”