Deganga Crime: আমবাগানে স্প্রে করতে এসেছিল কয়েকজন, পুকুরে নজর পড়তেই সে এক দৃশ্য…

Crime News: রাকেশ কাহারের বাবা স্বপন কাহারের অভিযোগ, হারান পারুইয়ের কাছ থেকে তিনি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন।

Deganga Crime: আমবাগানে স্প্রে করতে এসেছিল কয়েকজন, পুকুরে নজর পড়তেই সে এক দৃশ্য...
রাকেশ কাহারের মাসি রীনা কাহার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2022 | 12:30 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: সাত বছরের এক শিশুকে মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দেগঙ্গায়। অভিযোগের আঙুল এলাকারই এক ব্যক্তির দিকে। গত ৮ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল রাকেশ কাহার নামে ওই শিশু। এরপর দেগঙ্গা থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগও দায়ের হয়। ১৩ দিনের মাথায় সোমবার উদ্ধার হয় ওই শিশুর মৃতদেহ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এলাকারই একটি পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। কাহার পরিবারের সঙ্গে এলাকারই এক শিক্ষক হারান পারুইয়ের জমিজমা নিয়ে সমস্যা চলছিল। এর মধ্যে এই ঘটনায় হারান পারুইয়ের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে কাহার পরিবার। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা সাধুখাঁ পাড়া। সেখানেই বাড়ি স্বপন কাহারের। তাঁরই ছেলে রাকেশ। ৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল রাকেশ। তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় তাকে। এরপরই কিনারা না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তারা। ১৩ দিনের মাথায় বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু গড়ের পিছনে একটি পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাড়ার আমবনে কয়েকজন স্প্রে করতে গিয়ে পুকুরের মধ্যে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে। পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তারাই মৃতদেহ শনাক্ত করে।

রাকেশ কাহারের বাবা স্বপন কাহারের অভিযোগ, হারান পারুইয়ের কাছ থেকে তিনি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন। ভ্যান চালিয়ে তাঁর সংসার চলে। খুব কষ্টের উপার্জন থেকে এই জমি কিনেছিলেন। কিন্তু সে জমি তিনি পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই টাকা ফেরত চান স্বপন। আর তাতেই পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে।

স্বপন কাহার বলেন, “২ লক্ষ টাকায় জমি কিনেছিলাম হারান পারুইয়ের কাছ থেকে। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দলিল করেছিলাম। অথচ সে জমি হাতেই পাইনি। আড়াই তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবে বলেছিলেন। এখন সেটা চার বছর হয়ে গেল। উনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন, দেখে নেবেন। আমাদের ছেলের এই অবস্থা উনি ছাড়া কেউ করেননি।”

রাকেশের মাসি রীনা কাহার বলেন, “বাচ্চাটা স্কুল থেকে ফিরে খেলতে বেরিয়েছিল। এরপর ওকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা হারান মাস্টারমশাইয়ের বাড়ির সামনেও গিয়েছিলাম খুঁজতে। দেখি ওখানে আলো বন্ধ। অথচ রাত ১০টা অবধি আলো জ্বলে। এই ঘটনা ওই লোক ছাড়া কেউ করতেই পারে না। জায়গা নিয়ে ঝামেলা ছিল। তার প্রতিশোধ নিতে গিয়েই এটা ঘটল।”

প্রত্যক্ষদর্শী নীলাদ্রী দাস জানান, “আমবাগানে গাছে স্প্রে করতে এসেছিল কিছু লোক। ওরাই দেখে জলের মধ্যে একটা পা ভেসে রয়েছে। এরপর শুরু হয় হইহই। জলে নেমে দেখা যায় একটা বাচ্চা পড়ে রয়েছে। তখনই সন্দেহ হচ্ছিল এলাকার কেউ হবে। পরে ওর মা এসে জামা দেখে চিনতে পারে। বাচ্চাটা স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় হারিয়েছিল। সেই পোশাকেই পাওয়া যায়। আমাদের মনে হচ্ছে ওকে খুন করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Behala Case: যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছিল, হঠাৎই গায়ে আগুন দিয়ে দৌড় তরুণীর… ভয়ঙ্কর কাণ্ড কলকাতায়