দীপনারায়ণবাবু নিরন্তর 'দ্বীপ' জালানোর চেষ্টা করেছেন সেই প্রত্যেক দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েগুলোর মধ্যে। কিন্তু মাঝে এল করোনা, তদুপরি অতিমারি পরিস্থিতি। লড়াইটা হল আরও কঠিন। কী অনলাইন ক্লাস, কীসের মোবাইল! যে পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত লড়াই চালায় সংসারের চাল, নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনে, তাঁরা কীভাবে নিজের ছেলেমেয়েদের অনলাইন ক্লাস করাবেন! অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মানুষগুলোর অভিধানে যেন এই শব্দগুলোই অর্থহীন।
দীপনারায়ণবাবুর লড়াইটা হল আরও কঠিন। প্রত্যেক পড়ুয়াদের নিয়ে এবার রাস্তায় ক্লাস করানো শুরু করলেন তিনি। সারা পেলেন বিস্তর। মাস্টারমশাইকে ভালোবেসেই পড়ুয়ারা জড়ো হয়ে যেত নির্দিষ্ট সময়ে। তাঁদের বইখাতা কিনে দিয়েছেন। খাবার দিয়েছেন প্রত্যেকদিন। পুষ্টির অভাবে যে ছাত্রগুলোর চেহারায় ছাপ পড়ছিল, তাদের যত্ন নিয়েছেন বুকে আগলে।