Asansol Fire Update: ফ্লাই অ্যাশ স্টোরেজে আগুন, প্রায় ২০ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার হল চাপা পড়া ৩ শ্রমিকের দেহ

Paschim Bardhaman: মৃত কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও একজন করে বাড়ির লোকদের চাকরি দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

Asansol Fire Update: ফ্লাই অ্যাশ স্টোরেজে আগুন, প্রায় ২০ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার হল চাপা পড়া ৩ শ্রমিকের দেহ
ফ্ল্যাই অ্যাশ কারখানায় আগুন (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2021 | 6:27 AM

আসানসোল : প্রায় কুড়ি ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর এক-এক করে উদ্ধার হল ছাইয়ে চাপা পড়ে থাকা তিনজন শ্রমিকের মৃতদেহ। ছাইয়ের নিচে চাপা পড়া দেহগুলি রাত এগারোটা নাগাদ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

রানিগঞ্জ থানার মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি ইন্টিগ্রেটেড স্টিল ও পাওয়ার প্ল্যান্টে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে শনিবার ভোররাতে। কারখানায় পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে তৈরি হওয়া ফ্লাইঅ্যাশ, ছাই রাখার কনটেইনার বা সেলো ভেঙে পড়ে। সিমেন্টের ওই কনটেইনারের তলায় চাপা পড়ে তিনজন কর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গতকাল সকালেই উদ্ধার করা হয় একজনকে।

ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ কারখানায় যায়। পরে দমকলকর্মীরা সেখানে পৌঁছান। দমকলকর্মীদের উপস্থিতিতে ক্রেন ও জেসিপি দিয়ে কনটেইনারের ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক,তাপস বন্দোপাধ্যায় ও অভিজিৎ ঘটক এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তারা কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও একজন করে বাড়ির লোকদের চাকরি দেওয়ার দাবি জানান। একই দাবি কারখানার অন্য কর্মীদের তরফেও করা হয়েছে।

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাপসবাবু জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বলেছেন।

প্রসঙ্গত, কারখানার ফ্লাই অ্যাশ জমা করা সিমেন্টের সেলো ভেঙে পড়ে গতকাল। তার তলায় চাপা পড়ে যায় চারজন কর্মী। তাদের মধ্যে ছিলেন শিবনাথ রাম, রানিগঞ্জের বল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা তন্ময় ঘোষ (৪২), অন্ডালের হরিশপুরের বাসিন্দা দিলীপ গোপ (৪৩) ও বাঁকুড়ার পলাশডাঙার বাসিন্দা শিবশংকর ভট্টাচার্য্য (৩৬)। এদের মধ্যে শিবনাথবাবুকে উদ্ধার করা গেলেও, ওই সেলোর নিচে চাপা পড়ে যায় বাকি তিনজন। সন্ধে গড়িয়ে রাত হলেও কোনও উদ্ধার করতে পারা যায় না বাকি তিনের দেহ। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসন ও দমকল বিভাগকে। ভোর রাত থেকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ,দমকল বিভাগ ও কারখানার কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্ধারকারী দল। কর্মীদের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সাড়ে তিনশো টন ছাই রাখা যায় এই স্টোরেজে। কিন্তু সেটাই ভেঙে পড়ে এদিন।

এদিকে আবার সকালের রেশ কাটতে না কাটতেই সন্ধে নাগাদ ফের আগুনের ফুলকি বের হতে দেখা যায় ওই কারখানায়। শ্রমিকদের একাংশের দাবি তেলের ড্রামেই বিস্ফোরণ হয়ে এই আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থানে পৌঁছায় দমকল।

আরও পড়ুন: Bihar: জেনেবুঝে ‘মৃত’ প্রার্থীকেই জেতালেন ভোটাররা! বিহারের গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে নজির