Babul Supriyo: ‘আসানসোলে তো টিম-বাবুল চলত!’ সাংসদের তৃণমূল-যোগকে ‘শাপে বর’ বলছে বিজেপি
BJP On Babul Supriyo: 'এখানে বিজেপি নয়। টিম বাবুলের বিজেপি চলত।' বাবুূল দলের বিপক্ষে গিয়ে 'বি পার্টি' করতেন বলে দাবি আসানসোলের বিজেপি নেতাকর্মিদের।
আসানসোল: তিনি আসানসোলের (Asansole) দু’ দু’বারের বিজেপি সাংসদ (BJP MP)। তাছাডা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। সেই বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) দলবদল করে তৃণমূলে (TMC) যাওয়াকে ‘শাপে বর’ হল বলে অবহিত করছে আসানসোলের বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ‘এখানে বিজেপি নয়। টিম বাবুলের বিজেপি চলত।’ বাবুূল দলের বিপক্ষে গিয়ে ‘বি পার্টি’ করতেন বলে দাবি তাদের।
বাবুলের বিজেপি-ত্যাগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদিও দলের অন্দরমহলে অস্বস্তি রয়েছেই। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেল আসানসোল বিজেপিতে। বাবুল সুপ্রিয়-র বিজেপি ত্যাগকে কার্যত শাপে বর হিসাবে দেখছেন আসানসোল বিজেপি সংগঠনের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বাবুল ভারতীয় জনতা পার্টির মতো নিয়ম ও শৃঙ্খলা পরায়ন দলে থেকে লাগাতার নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করে গিয়েছেন। সমান্তরাল ভাবে বি-টিম চালিয়েছেন জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গিয়ে। টিম বাবুল বিজেপি তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র তার কিছু তাঁবেদার ও অনুগামী নিয়ে। এমনটাই অভিযোগ আসানসোলের পুরাতন বিজেপি নেতা কর্মীদের।
সোমবার আসানসোল সেন্ট্রাল পার্টি অফিসে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মীদের সভায় বক্তব্য দিয়ে চাঙ্গা করে যান। ওই একই মঞ্চ থেকে অগ্নিমিত্রা পাল, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। ক্ষমতা থাকলে আসানসোলে তৃণমূলের হয়ে উপনির্বাচনে তাঁকে দাঁড়িয়ে দেখানোর আহ্বান জানান তাঁরা। তাঁদের দাবি, বাবুল সুপ্রিয় নরেন্দ্র মোদীর ছবিতে জিতেছিলেন। তাঁর কোনও ব্যক্তিগত ক্যারিশমা ছিল না। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়েছেন একেবারে নিচুতলার কর্মীরাও। তাঁদের দাবি, বাবুল চলে যাওয়ায় সংগঠনে উপকারই হল। এবার তাঁরা পুরোদমে আগামী পুরনিগমের ভোটে ও আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে ভোটে লড়াই করবেন। বিজেপি আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং বাবুলকে ছাড়াই জয়লাভ করবে বলে দাবি তাঁদের।
উল্লেখ্য, গত শনিবার আচমকা তৃণমলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগদানের পরেই রাজ্যের বিরোধী শিবিরের সাংগঠনিক পরিকাঠামো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদিও বিজেপির দাবি, বাবুলের দলত্যাগে বিজেপির (BJP) কোনও ক্ষতি হবে না।
সোমবারই আসানসোলের বিজেপির কর্মিসভায় এসে বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূলে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন। কেউ কেউ ক্ষমতা পেতে তৃণমূলে যাচ্ছেন। আর বাকিদের জোর করে ভয় দেখিয়ে দলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে।” যদিও, বিজেপির তরফে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দুর খোঁচা, “আমরা তো তৃণমূলের মতো ফোন ট্যাপ করি না। তাই কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়ে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেই পারেন। সেখানে কী করে কে কাকে ফোন করবে তা তো বলতে পারব না। আমার ফোন তো ওই দলে থাকাকালীন ট্যাপ করা হত।”