Dilip Ghosh On Election Commission: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও স্বাধীন সত্তাই নেই: দিলীপ
Dilip Ghosh On Election Commission: "রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যদি স্বাধীন সত্ত্বা থাকত, তাহলে তিন বছর ধরে পুরনির্বাচন বাকি থাকত না। তাদের দায়িত্ব সময়ে নির্বাচন করা। তারা তা করেনি, মানে এই সরকারের দ্বারা পরিচালিত।"
আসানসোল: বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির নিশানায় এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও স্বাধীন সত্তাই নেই। রাজ্য সরকারের দ্বারাই তা নিয়ন্ত্রিত হয়। অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।
আসানসোলের চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যদি স্বাধীন সত্তা থাকত, তাহলে তিন বছর ধরে পুরনির্বাচন বাকি থাকত না। তাদের দায়িত্ব সময়ে নির্বাচন করা। তারা তা করেনি, মানে এই সরকারের দ্বারা পরিচালিত।” রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ঠিক প্রশ্ন তুলেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেই সুরেই কথা বলে তিনি বলেন, “কী করে দুটো মাত্র কর্পোরেশন ইলেকশন করাতে যাচ্ছে । ১১৮ টা বাকি থাকবে কেন? সেগুলো হওয়া উচিত। সেই প্রশ্ন আমরা করেছি।”
প্রসঙ্গত, পুরভোট নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজভবন। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবারই হয় বৈঠক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না, তাদের কথা মতো চললেও হবে না- কড়া ভাষায় সর্তক করে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সৌরভ দাস। সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা ও হাওড়া নয়, রাজ্যপাল অনান্য পুরসভাতেও একইসঙ্গে নির্বাচন চাইছেন।
রাজ্যপালের সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, কেবল কলকাতা ও হাওড়াতেই কেন পুরভোট? বাকি পুরসভাগুলিতে কেন ভোট হবে না? সব পুরসভাগুলিতেই একই সঙ্গে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপরই দুটো টুইট করেন। দ্বিতীয় টুইটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, পুরভোটের ক্ষেত্রে তাঁর কী কী কর্তব্য।
নির্বাচন কমিশনের তরফে তার কোনও উত্তর এখনও পাঠানো হয়নি। নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে মনে করছে, রাজ্যপাল কোনও পরামর্শ দিতেই পারেন। তবে সেই পরামর্শ মেনেই যে কাজ করতে হবে, সেরকম কোনও আইন সংবিধানে নেই। ২৪৩K নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র আইনে বলা রয়েছে, ভোটার তালিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে ভোট ঘোষণা, বিজ্ঞপ্তি, ভোট করানোর প্রস্তুতি-তার সব দায়িত্বই কমিশন গ্রহণ করতে পারে।
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই ভোটের নির্ঘণ্ট স্থির করা হবে। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তাঁরা। রাজ্যপালের পরামর্শ নিতে পারেন। কিন্তু সেই পরামর্শ যে মানতেই হবে, এমনটা নয়। রাজ্যপাল চাইছেন, সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হবে। সেক্ষেত্রে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এম ওয়ান ও এম টু ধরনের এত ইভিএম তাদের নেই। যাতে ১১২ টা পুরসভার ভোট করানো সম্ভব হয়। কার্যত দ্বন্দ্ব রয়েছে। এদিকে, আজকের মধ্যেই হাওড়া ও বালি পুরসভার আইনি জটিলতা না মিটলে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার কেবলমাত্র কলকাতা পুরসভার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
আরও পড়ুন: ডিভিশন বেঞ্চে আজ গ্রুপ-ডি মামলা, রায়ের দিকে নজর সিবিআই-এর