কারবারের সুবিধায় নদীর উপর সেতু গড়েছিল জমি কারবারিরা, জলেই মিশিয়ে দিল সেচ দফতর

Land Mafia: অভিযোগ, জমি মাফিয়ারা ওই নদীর পাশে প্লট করে জমি বিক্রি করার জন্য অবৈধ ভাবে পাকা কংক্রিটের সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন।

কারবারের সুবিধায় নদীর উপর সেতু গড়েছিল জমি কারবারিরা, জলেই মিশিয়ে দিল সেচ দফতর
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2021 | 7:09 PM

পশ্চিম বর্ধমান: কারবারের সুবিধার জন্য নদীর উপর অবৈধ সেতু তৈরি করেছিলেন জমি মাফিয়ারা। সেই সেতুরই সলিল সমাধি ঘটাল সেচ দফতর। উত্তর আসানসোলে নুনিয়া নদীর উপের

উত্তর আসানসোল এলাকায় নুনিয়া নদীর উপর অবৈধ সেতু নির্মাণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। জমি মাফিয়ারা নিজেদের কারবারের পথকে সুগম করতেই এই বিকল্প পথ তৈরি করেছিল। বহু দিন এই সেতু ধরেই চলেছে কারবার। অবশেষে তা ভেঙে ফেলা সম্ভব হল। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে এই অভিযানে ছিলেন পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ররাও।A

১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে তপসি বাবার মন্দিরের কাছে নুনিয়া নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে। অভিযোগ, জমি মাফিয়ারা ওই নদীর পাশে প্লট করে জমি বিক্রি করার জন্য অবৈধ ভাবে পাকা কংক্রিটের সেতুটি নির্মাণ করেছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, নদীর উপরে এভাবে কোনও সেতু নির্মাণ করা যায় না। এতে নদীর গতিপথ রুদ্ধ হয়। গতিপথ পরিবর্তিতও হয়ে যায়।

একইসঙ্গে সরকারের সার্বিক অনুমতি ছাড়া কোনও জমিও এভাবে প্লট করে বিক্রি করা যায় না। পুরনিগমের পক্ষ থেকে এর আগে সেতুটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল। অভিযোগ, সে সময়জমি মাফিয়ারা পিছন থেকে এলাকাবাসীকে তাতিয়ে অবরোধ করিয়েছিল। ফলে পুর কর্তৃপক্ষ সেতু না ভেঙে ফিরে যায়। এর পরেই গোটা বিষয়টি পুরনিগমের তরফে রাজ্যের সেচ দফতরকে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: মাছ চুরির প্রতিবাদ করায় পুলিশকে পেটাল দুষ্কৃতীরা! বেধড়ক মার ভাইকেও

পাশাপাশি পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। জেলা প্রশাসনও সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে। শেষ পর্যন্ত সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ সেতুটি ভেঙে দেওয়া হল। এদিন অবশ্য কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি আধিকারিকদের। আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, অবৈধ সেতু ভেঙেই কাজ শেষ নয়। নদীর পারে যে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তার বৈধতা নিয়েও তদন্ত হবে।