Asansol: আচমকা এল মুখে গামছা বেঁধে, কাচের ওপার থেকে গুলি চালিয়ে চলে গেল ৪জন
Asansol: মৃতের নাম উমাশঙ্কর পাসওয়ান। রবিবারই তিনি ফিরেছিলেন চেন্নাই থেকে। পেশায় সুদ কারবারি। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে চিনাকুড়ি রেলগেটের কাছে নিজের অফিসে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, দু'টি বাইকে করে চারজন আসেন।
আসানসোল: ভোটের আগে ফের অশান্ত আসানসোল। আবারও গুলি চলল সেখানে। গুলিবিদ্ধ এক সুদ কারবারি। স্থানীয় সূত্রে খবর, কাচের দরজার বাইরে থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। দ্রুত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের নাম উমাশঙ্কর পাসওয়ান (৫৫)। চিনাকুড়ি রেলগেটের কাছে বাজার এলাকায় রয়েছে মাইক্রো ফাইন্যান্সের অফিস। কমিটি খেলা হত এখানে। সুদের কারবারও চলত বলে জানা গিয়েছে। সোমবার নিজের অফিসে বসে ছিলেন উমাশঙ্কর। মুখে গামছা বেঁধে এক যুবক আসে। নিজেকে রাহুল পাসোয়ান পরিচয় দিয়ে দেখা করতে চান উমাশঙ্করের সঙ্গে। বলে পেমেন্ট নিয়ে এসেছে সে। এরপর অফিসের কর্মী আসেন অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য। তখন কাচের দরজার বাইরে থেকেই উমাশঙ্কর চৌহানকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ওই যুবক বলে অভিযোগ। চার পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে প্রথমে কুলটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দুষ্কৃতী অফিসে হয়ত একাই এসেছিল। দূরে মোটরবাইকে আরও কেউ থাকতে পারে। গুলি চালিয়ে কোন দিকে পালিয়েছে তাদের জানা নেই।
উমাশঙ্করবাবুর অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, “সকালবেলা একজন ব্যক্তি এসেছিলেন। সে এসে সঞ্জীব নামের কাউকে খোঁজাখুঁজি করছিল। উমাশঙ্করবাবু জানান এই নামের কাউকে চেনেন না। তারপর ওই লোকটি চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ফের তিনি আসেন। মুখে বাধা ছিল গামছা। তারপর ফের জিজ্ঞাসা করল সঞ্জীব বলে কেউ ফোন করেনি। উমাশঙ্কর না বলতেই। প্যান্ট থেকে বন্দুক বার করল। আর গুলি চালাল। বাইকে করেও বাইরে থেকে এসে গুলি চালানো হয়েছে। প্রায় চার থেকে পাঁচটা গুলি চলেছে।”