Asansol: আসানসোল শূন্য সাংসদ! কেন্দ্রের দেওয়া উন্নয়নের ২ কোটি টাকা আসবে কীভাবে? প্রশ্ন সিপিআই(এম) নেতার
Paschim Bardhaman: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বর্তমানে কোনও সাংসদ নেই। কারণ একমাস আগেই বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
আসানসোল: সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তারমধ্যেই চলছে দলবদল। এরই মধ্যে ‘উন্নয়ন’ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিলেন সিপিআইএম নেতা তথা আসানসোল লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী (Bansa Gopal Chowdhury)। কারণ বর্তমানে এই লোকসভায় নেই কোনও সাংসদ। ফলে উন্নয়ন কীভাবে হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিপিআইএম নেতা।
জানা গিয়েছে, সাংসদ এলাকায় উন্নয়নের জন্য চলতি বছরে দেশের সমস্ত সাংসদদের তহবিলে দু’কোটি টাকা করে বরাদ্দ করবে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বর্তমানে কোনও সাংসদ নেই। কারণ একমাস আগেই বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাই এই এলাকার উন্নয়ন কীভাবে হবে? সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বংশগোপাল।
অন্য়দিকে আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “আসানসোল লোকসভার সাংসদ তহবিলের অর্থ আসানসোল পৌরনিগম অথবা এডিডিএকে দেওয়া হোক।” তবে সাংসদ বিহীন এই লোকসভায় আগামী দিনে উন্নয়ন কীভাবে হবে সে নিয়েই শুরু হয়েছে অনিশ্চিয়তা।
বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সাংসদ তহবিলের টাকা জেলাশাসকের মাধ্যমে আসতে পারে। কিন্তু উন্নয়নের টাকা তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে নিতে পারে। তাই উপনির্বাচনে বিজেপির সাংসদ আবার আসবে ও উন্নয়ন হবে বলে মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই তাঁর সাংসদ পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাহলে কি বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে? নাকি অন্য কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বাবুলকে? তৃণমূল ভবনে সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের পাশে বসে তিনি বলেছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন ।
আসানসোলে বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। বিজেপি ছেড়েছেন, তাই সেই দলের টিকিটে জেতা পদ তিনি দখল করে রাখবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণার পরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে বাবুলের সামনে কোনও ‘বড় সুযোগ’ এসেছে? সে বিষয়ে অবশ্য কোনও ‘ক্লু’ পাননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাবুল সুপ্রিয়ও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর বিজেপিতে থাকলেও সংগঠনের সঙ্গে গাঁটছড়া কখনই মজবুত হয়নি বাবুলের। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর যে বিষয়টি আরও বিপক্ষে যায় আসানসোলের সাংসদের। এমন কানাঘুষোও শোনা যায় যে, বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর ভূমিকায় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। যে কারণে মন্ত্রিত্ব হারা বাবুলকে সংগঠনের কোনও ভূমিকাতেও দেখা যায়নি। ফলে পদ্ম ঘরে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন এই গায়ক-সাংসদ।