TMC Raju Sahani: রাজু সাহানির জামিনের আর্জি খারিজ, পাঁচদিনের হেফাজত তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের

Asansol: রাজুর আইনজীবীদের দাবি, রাজুর নিজের রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। তিনি ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে। তাই তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হওয়াটা কোনও বড় ব্যাপার নয়।

TMC Raju Sahani: রাজু সাহানির জামিনের আর্জি খারিজ, পাঁচদিনের হেফাজত তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের
রাজু সাহানি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 9:54 PM

পশ্চিম বর্ধমান: হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। চিটফান্ড মামলায় তাঁকে শুক্রবার গ্রেফতারের পর শনিবার আসানসোলের আদালতে তোলা হয়। জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন রাজুর আইনজীবী। পাল্টা সিবিআই শান দেয় ‘প্রভাবশালী’ ও ‘সুবিধাভোগী’ এই দুই অস্ত্রে। আদালত সূত্রে খবর, এই দুই জোরালো তত্ত্বেই জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় রাজু সাহানির।

চিটফান্ডের টাকা লেনদেনের অভিযোগে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ তিনি দাবি করেন, চিটফান্ডের টাকা তাঁর হাতে এসেছিল তা তিনি জানতেনই না। শনিবার আসানসোল সিজেএম আদালতে রাজু সাহানিকে পেশ করা হলে সওয়াল-জবাবে এমনই দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী। যদিও সিবিআইয়ের তরফে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বের পক্ষে ধারাল যুক্তি খাঁড়া করা হয়। তাতেই খারিজ হয় রাজু সাহানির জামিনের আবেদন।

শনিবার আসানসোল ফৌজদারি আদালতে রাজু সাহানিকে তোলা হলে সওয়াল-জবাবের পর বিচারক তরুণকান্তি মণ্ডল রাজু সাহানিকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। রাজুর পক্ষে আইনজীবী প্রদীপ কর ও প্রসেনজিৎ নাগের তরফে জানানো হয়, রাজুকে আইন মেনে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে আগে সমনও পাঠায়নি সিবিআই। শুধুমাত্র তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তাঁর বাড়ি থেকে যে পরিমাণ টাকা ও সম্পত্তির নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের, সিজার লিস্টে তার কোনও উল্লেখ নেই।

রাজুর আইনজীবীদের দাবি, রাজুর নিজের রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। তিনি ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে। তাই তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হওয়াটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। এরসঙ্গে চিটফান্ডের কোনও যোগ নেই বলেই আদালতে দাবি করেন তাঁরা। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার ও শিবেন্দ্র সাচারের দাবি, ঘটনা সেই ২০১৪ সালের। চিটফান্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ সামনে আসতেই বর্ধমানের প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। তিনি গ্রেফতার হন ২০২১ সালে। এই জেলা থেকে দ্বিতীয় যে নামটি উঠে আসে, সেটাই রাজু সাহানির। তাঁর নাম সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে ছিল না। পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে রাজুর নাম যুক্ত হয়। সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে বারবার ডাকা হলেও তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলেও দাবি সিবিআইয়ের তরফে। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী বলেও আদালতে দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত দেয় আদালত।