Paschim Medinipur: সৌভিকের দেহ গ্রামে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার, শিক্ষকদের স্কুলে আটকে তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
Paschim Medinipur: শেষকৃত্যে এসেছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাঁদের দেখে ফের একবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সাফ অভিযোগ, শিক্ষকদের গাফিলতির কারণেই চলে যেতে হয়েছে সৌভিককে। ঠিক করে নজর রাখলে এমনটা হত না। স্কুলের গেটের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে স্কুলের ভিতরেই আটকে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
দাসপুর: বুধবারের পর উত্তেজনা বৃহস্পতিবারও। স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহ গ্রামে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিজনেরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘিরে ধরে চলল বিক্ষোভ। অভিযোগ, শিক্ষকদের গাফিলতিতেই প্রাণ গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সৌভিক বেরার। শোকের ছায়া গোটা গ্রামে। বুধবার রাতে স্কুলের পাশে থাকা পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা নাগাদ তাঁর দেহ আসে খাঞ্জাপুর গ্রামে। এদিকে নতুন করে যে উত্তেজনা ছড়াতে পারে সে খবর আগেই পেয়েছিল পুলিশ। সে কারণে দেহ আসার আগে থেকেই এলাকা টহল দিতে শুরু করে দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মাঠে নামে র্যাফও। পুলিশের উপস্থিতিতেই সৌভিকের দাহ কাজ সম্পন্ন হয়।
শেষকৃত্যে এসেছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাঁদের দেখে ফের একবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সাফ অভিযোগ, শিক্ষকদের গাফিলতির কারণেই চলে যেতে হয়েছে সৌভিককে। ঠিক করে নজর রাখলে এমনটা হত না। স্কুলের গেটের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে স্কুলের ভিতরেই আটকে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলের বার্ষিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। খেলা শেষে পড়ুয়ারা স্কুলের পাশের পুকুরে স্নানে নামে। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় সৌভিকের। রাতে উদ্ধার হয় তার দেহ।