Birsingha Village: অন্ধকারে নিম্মজিত বিদ্যাসাগরের গ্রাম, দায়ভার নিয়েই সন্ধিহান প্রশাসন
Birsingha Village: বিদ্যুৎ দফতর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগও। সেই আশঙ্কাও রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে যাবে বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম ঘাটালের বীরসিংহ গ্রাম। বিদ্যাসাগরের জন্ম ভূমি ঘিরে তৈরি করা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আগে জেলা প্রশাসনের কোটি টাকা ব্যয়ে তাঁর জন্মভূমিকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। বসানো হয়েছিল ৬৮৭ টি পথবাতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশিরভাগ বাতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্কার হয়নি। ফলে ধীরে ধীরে ‘অন্ধকারেই নিমজ্জিত’ হয়েছে বীরসিংহ গ্রাম।
পথবাতিগুলি কারা রক্ষণাবেক্ষণ করবে তাই নিয়ে ধন্দে পড়েছে প্রশাসন। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রথমত গুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁদের কোন তহবিল নেই। অন্যদিকে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদও এই দায়িত্ব নিতে চাইছে না। সূত্রের খবর, পথ বাতিগুলির লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে।
বিদ্যুৎ দফতর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগও। সেই আশঙ্কাও রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে যাবে বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের রাস্তার ধারের লাইটগুলো খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানেন। অনেকবার আমাদের তরফেও জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লাইট সারানো হয়নি। গ্রামের রাস্তা সন্ধ্যার পর থেকেই অন্ধকারে থাকে। তাতে এলাকায় অপরাধের প্রবণতাও বেড়ে গিয়েছে। গ্রামের মেয়েরা রাস্তায় সন্ধ্যার পর বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত।”
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে আশা করি খুব শীঘ্রই পথ বাতিগুলি সারিয়ে তোলা হবে। এখন দেখার বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামে আলো ফিরে আনতে প্রশাসন কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।”