Chandrakona Body: স্ত্রীকে পাড়ে বসিয়ে নদীতে নেমেছিলেন, চোখের সামনেই মর্মান্তিক পরিণতি
Chandrakona Body: তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা যতক্ষণে তাঁর চিৎকার শুনতে পান, ততক্ষণে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
পশ্চিম মেদিনীপুর: শিলাবতী নদী থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। শুক্রবার নদীতে তলিয়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। রাতভর স্পিডবোটে তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। শিলাবতী নদীতে সাঁতারে পারাপার হতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁপুর গ্রামে। মৃত যুবকের নাম কাশীনাথ বধূক (৫৫)।
জানা গিয়েছে, চাষের জন্য শিলাবতী নদী সাঁতার কেটে নদীর অপরপ্রান্তে বীজতলা আনতে গিয়েছিলেন কাশীনাথ। তিনি নদীতে তলিয়ে যান। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,কাশীনাথ স্ত্রী চাঁপাকে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।
নদীর জলে সাঁতার কেটে অপরপ্রান্তে হীরাধরপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। ফেরার সময়েও সাঁতার কেটে নদী পার হতে গেলে স্ত্রী এপাড় থেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও না শুনেই সাঁতার কেটে বাড়ি ফিরতে গেলে ভরা নদীর মাঝখানে গিয়ে ঢুবতে থাকলে তা লক্ষ্য করেন স্ত্রী।
তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা যতক্ষণে তাঁর চিৎকার শুনতে পান, ততক্ষণে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। শুক্রবার দিনভর স্থানীয় বাসিন্দারা জাল ফেলে খোঁজ চালান। কিন্তু লাভ হয়নি।
শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। শনিবার ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ ও ব্লকের বিডিও-র তৎপরতায় সকাল থেকে খড়গপুর থেকে সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম আনে। স্পিডবোট দিয়ে নদীতে খোঁজ চালানো হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে খোঁজ চলে। কিছুক্ষণ পর খাঁপুর গ্রামেই নদী থেকে উদ্ধার হয় কাশীনাথের দেহ উদ্ধার হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।