Dilip Ghosh: ‘কানের নীচে থাপ্পড়… ঘা শুকোতে দেব না’, মেজাজ হারালেন এখনও প্রার্থী তালিকায় নাম-না থাকা দিলীপ
Dilip Ghosh: কুকুরকে মুগুর দিয়ে সিধে করার মতো মন্তব্যও শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি বলেন, "কামাচ্ছো, করে খাচ্ছ, খাও। কেন চুলকাচ্ছ? আমরা চুলকালে ঘা শুকোতে দেব না। অনেক কুকুরকে মুগুর দিয়ে সিধে করেছি। কোন কুকুরের কোন মুগুর দিলীপ ঘোষ জানে।"
মেদিনীপুর: ভোট এসে গিয়েছে। এখনও প্রার্থী হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা হয়নি বিজেপির তরফে। তার আগেই সান্ধ্য চায়ের আড্ডায় মেতেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। অনুগামীদের নিয়ে কথা বলছিলেন মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক এলাকায়। ৬ টা নাগাদ যখন সেই আড্ডা চলছে, তখন আচমকায় পাশ দিয়ে যায় কয়েকটি বাইকে। তৃণমূলের পতাকা হাতে বাইক আরোহীরা বিজেপি-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। জানা যায়, তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থকেরা বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন সেখান দিয়ে। এরপরই দু পক্ষের চিৎকারে, স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। এরপরই সভা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দিলীপ। চাঁচাছোলা ভাষা ব্যবহার করে রীতিমতো বেফাঁস মন্তব্য করতে শোনা যায় দিলীপকে।
সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলতে শুরু করেন, “ভাদুতলায় আমাকে দেখে বেশ কিছু লোক ঘেউঘেউ করতে শুরু করল। আমি এখন থেকেই তৃণমূল নেতাদের বলে দিচ্ছি, যদি ভাবেন এভাবে ভোট করাবেন, আমরা কিন্তু পোস্টার ব্যানার নিয়ে ভোট করব না, অন্য কিছু নিয়ে ভোট করব।” দিলীপের এই বক্তব্য করতালির ঝড় শুরু হয়ে যায় কর্মীদের মধ্যে।
তৃণমূল কর্মীদের নিশানা করে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “যারা কানে দুল পরে চেঁচামেচি করছে, তারা বাড়িতে যেন বলে আসে নামটা কেটে দিতে। দিলীপ ঘোষ এরকম জোচ্চোরদের বুকে পা দিয়ে ১৮ টা এমপি জিতিয়েছে। দিলীপ ঘোষ সমাজ বিরোধী, গুন্ডা, পকেটমারদের ভয় পায় না। কানের নীচে দুটো থাপ্পড় দিলে সাতদিন শুনতে পাবে না।”
এখানেই থামেননি দিলীপ ঘোষ। কুকুরকে মুগুর দিয়ে সিধে করার মতো মন্তব্যও শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি বলেন, “কামাচ্ছো, করে খাচ্ছ, খাও। কেন চুলকাচ্ছ? আমরা চুলকালে ঘা শুকোতে দেব না। অনেক কুকুরকে মুগুর দিয়ে সিধে করেছি। কোন কুকুরের কোন মুগুর দিলীপ ঘোষ জানে। এরপর এমন হলে একটাও বাইক পার হতে দেব না।”
এর আগে ২০১৯-এর ভোটের প্রচারেও এমন মেজাজে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। এবার এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা না হলেও ফের আগল ভেঙে বেফাঁস মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁকে।
দিলীপ ঘোষকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমরা জানি না কে দিলীপ ঘোষ। সাংসদ হওয়ার পর তাঁকে কেউ এলাকায় দেখেছে কি না, জানা নেই।” তৃণমূলের এদিন মেদিনীপুরে পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিল বলেও জানিয়েছেন।