Ghatal: বন্যার জলে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন যুবক!

Ghatal Flood: পুলিশ সূত্রে খবর, শ্যামল ও প্রতিমা বাড়ির সামনেই বন্যার জলে স্নান করতে যায়।

Ghatal: বন্যার জলে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন যুবক!
বন্যা দুর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2021 | 6:55 PM

ঘাটাল: বৃষ্টি কমেছে। তবে এখনও জল নামেনি বন্যার। প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হয়েছে সুরক্ষাবিধি বজায় রাখতে। কিন্তু তাতে কী? বন্যার জলে স্নান করতে গিয়ে জলের স্রোতে ভেসে গেলেন যুবক।

বছর ছাব্বিসের শ্যামল দোলুই। তাঁর বাড়ি দন্দিপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্যামল ও প্রতিমা বাড়ির সামনেই বন্যার জলে স্নান করতে যায়। কিন্তু হঠাৎ পা পিছলে যায় তাঁর। নিজেকে বাঁচাতে স্ত্রীকে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। জলের তোড়ে তলিয়ে যায় শ্যামল। মৃত্যু হয় তাঁর।

স্ত্রী প্রতিমা দোলুইয়ের থেকে খবর রপায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ঘাটাল থানার পুলিশ ঘিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটাল হাসপাতালে পাঠায়।

উল্লেখ্য, জলমগ্ন ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা এলাকা। সোমবার সকালে ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে যেতে পারেন সাংসদ দেব। ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের বরদা চাতাল থেকে জল কমলেও এখনও জলমগ্ন ঘাটাল পৌরসভা কার্যালয়। পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও ১৪ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েত মনসুকস গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখনও জল।

যাতায়াতের একমাত্র উপায় ডিঙি বা নৌকায় অসুস্থ ব্যক্তি ও প্রসূতিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বোটের মাধ্যমে এনডিআরএফ ও পুলিশকর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, দাসপুর ১ ও ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও জলমগ্ন। চন্দ্রকোণা ১ ও ২ ব্লকের কৃষি জমি জলের তলায়।

বিদ্যুৎ নেই বিস্তীর্ণ এলাকায়। অজবনগর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এখনও বসবাস করছেন রাজ্য সড়কে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। শেষ হয়ে আসছে শুকনো খাবার। এবার দেখা দিচ্ছে খাদ্য সঙ্কট।

প্রসঙ্গত, দু’মাস আগেই আরও একবার প্লাবিত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। অগস্টে ঘাটালের বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ দেব। নৌকায় বানভাসি দুর্গতদের কাছে পৌঁছন তিনি। দ্বিধাহীনভাবে খালি পায়ে কাদার মধ্যে দিয়েই দুর্গতদের কাছে পৌঁছে যান তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিলি করেন ত্রাণ। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে দিল্লিতে। তবে এর দুমাসের মধ্যেই ফের বিপর্যস্ত ঘাটালবাসী।

এদিকে, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হল । রবিবার সকালে ছাড়া হচ্ছিল ১,১২,১০০ কিউসেক জল । রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয় ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল ।

নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় কমানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ । শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছিল ১,২৬,২০০ কিউসেক জল । রবিবার সকালে আরও কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ। রবিবার সকালে ছাড়া হয় ১,১২,১০০ কিউসেক হারে জল। রবিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ।

গত ১২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির জেরে ডুবতে বসেছে এ রাজ্যের একাধিক জেলা। জলাধারগুলি থেকে হু-হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে সেটাই। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ-সহ বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়ার একাধিক ব্লক পুরোপুরি জলের তলায়।

আরও পড়ুন: Ghatal: করুণ অবস্থা বন্য়া দুর্গতদের! গৃহপালিত পশুর সঙ্গে ঠাঁই মানুষের