Ghatal TMC Leader: ‘অন্য কেউ ভোট চাইতে এলে জুতো দিয়ে মারুন’, ঘাটালে তৃণমূল নেতার মন্তব্যে জোর চর্চা
Ghatal TMC Leader: তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য আপাতত ঘাটালের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যস্তরে ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার। তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দল ভোট চাইতে এলে জুতা মারার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা। খড়গপুর দু’নম্বর ব্লকের ঘাটালের তৃণমূল নেতার বক্তব্য ঘিরে শোরগোল রাজ্যনীতিতে। জেলাস্তর ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়।
ঘাটালের পপরআড়া ৬ বাই ১ অঞ্চল বলরামপুরে তৃণমূল কংগ্রে্সের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি এরকম নিদান দেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বিশ্বজিৎ বলেন, “বিরোধীরা আপনাদের জন্য কী করেছে না করেছে, আপনারা জানেন। এখন প্রত্যেকেই শিক্ষিত। সকালে খবরের কাগজে দেখেন, সন্ধ্যায় খবর দেখেন। ওই ভদ্রমহিলা এই রাজ্যের মানুষের জন্য সারাটা দিন কী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সেটা বুঝতে পারেন। আজকে সারা ভারত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে।”
এরপরই তৃণমূল নেতা বলেন, “ওরা সারা বছর আপনাদের পাশে নেই, আপনাদের সুখে দুখে নেই। আমাদের ছেলেরা সারা বছরই আপনাদের পাশে থেকে সাহায্যের চেষ্টা করে। ওরা যদি না পারে, তাহলে আপনারা আমাদের কাছে আসেন। কেউ খালি হাতে ফেরত যান না। পঞ্চায়েত ভোটে দেখবেন কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ভোট কেনাবেচা হবে। সিপিএম বিজেপির মধ্যে কেনাবেচা হবে। আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ রইল। যে ওরা আপনাদের কাছে আসবে, থালায় প্রদীপ জ্বালিয়ে বরণ করবেন। আর পাশে একটা জুতো রাখবেন। ভোট চাইলেই জুতো দিয়ে মারবেন।”
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য আপাতত ঘাটালের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যস্তরে ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, “ওদের নেতৃত্ব যেরকম, সেরকমই তো কর্মীরাও হবে। যেমন গাছ তার তেমন ফল। রাজ্যের বড় নেতারা এমপি কবির সুমন কী ভাষায় কথা বলছেন! মদন মিত্র কীভাবে বলছেন! এটাই তাদের নেচার, আলাদা করে বলার কিছু নেই। তবে এটা মানতেই হবে প্রত্যেক ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়াও আছে। সব সময়ই বলবে।”
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “ঘটনাটা আজকে আমি শুনলাম। তবে মন্তব্যটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বলব এটা বলে ও ঠিক করেনি। দল এটাকে অনুমোদন করে না। তবে বিজেপির এই নিয়ে উল্লাসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ ওদের দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুরা যে ভাষায় কথা বলে, তাতে কিছু বলার নেই।”
আরও পড়ুন: Demand Of School Reopening: ‘আমাদের লাথি মেরে কী হবে, পুলিশকেও বুঝতে হবে তাদের সন্তানরাও সাফার করছে…’, এসএফআই-এর মিছিলে তপ্ত জেলা থেকে শহর
আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: সিবিআই তদন্তে অখুশি নিহত অভিজিতের দাদা, কাঁকুরগাছি মামলায় এবার নয়া মোড়