Kangaroo Court: দোকানে আগুন লেগেছে, সন্দেহ হয় পড়শি দোকানির ওপর, গুনিনের পরামর্শে সালিশি সভায় ১ কোটি ক্ষতিপূরণের নিদান

Kangaroo Court: অভিযোগ, জোর করে একটি জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করানো হয় ও সাদা কাগজে সই করে জমির দলিল কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Kangaroo Court: দোকানে আগুন লেগেছে, সন্দেহ হয় পড়শি দোকানির ওপর, গুনিনের পরামর্শে সালিশি সভায় ১ কোটি ক্ষতিপূরণের নিদান
নিগৃহীত ব্যবসায়ী ও তাঁর দুই ছেলে (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 12:38 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: দোকানে আগুন লেগেছিল। তাতে দোকান মালিকের মনে হয়েছিল এলাকারই প্রতিবেশী এক দোকানদারের হাত থাকতে পারে তাতে। গুনিনের কাছ গিয়ে জানতে পারেন, ওই দোকানদার আর তাঁর ছেলেই নাকি আগুন ধরানোয় অভিযুক্ত। তাই সালিশিসভা ডেকে এক পরিবারকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নিদান দিলেন গ্রামের মাতব্বররা। বর্তমানে ভয়ে ঘরছাড়া পরিবার। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাকিরহাট এলাকায়।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুলাই। রাত সাড়ে ন’টার পর চাকিরহাটে কাশীনাথ চাকির ডেকোরেটর্সের গুদামে আগুন লেগে যায়। ক্ষতি হয় অনেকটাই। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায় না। এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর ৬ অগস্ট কাশীনাথ চাকী গ্রামের কয়েকজন মাতব্বরদের নিয়ে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা অন্য এক ব্যবসায়ী তারকনাথ আড়ির বাড়িতে যান। তাঁরও ডেকরেটর্সের ব্যবসা রয়েছে। তারকনাথ আড়িকে নানান অজুহাত দেখিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পালপাড়ায় সুকুমার মাইতি নামে এক গুনিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে সেই গুনিন তারকনাথ ও তাঁর ছেলেকে দোষারোপ করেন। তারপরই সালিশি সভায় ক্ষতিপূরণের নিদান দেওয়া হয়। ৬ অগস্ট সন্ধ্যা থেকে তারকনাথ ও তার দুই ছেলে,বউমা ওপর প্রকাশ্যে জুলুমবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, জোর করে একটি জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করানো হয় ও সাদা কাগজে সই করে জমির দলিল কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ১ কোটি ১০ টাকা জরিমানার নিদান দেন মাতব্বররা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। মাতব্বরদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না আক্রান্তরা। আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ দাসপুর থানা এই ঘটনায় কোনও সহযোগিতা করেনি। শেষমেশ ৯ অগস্ট ওই পরিবার ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এই ঘটনায় এখনও কোনও আইনি পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। মোড়লরা সালিশিসভার কথা স্বীকার করলেও সেই সময় জোর করে সাদা কাগজে সই করানোর কথা অস্বীকার করেছেন।

ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, “দু’দিনের দুটি ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গ্রাম বাসীদের জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ । আগুন লাগানো, সালিশি সভা ডাকা,এই ঘটনায় যারা জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা হবে।”