TMC MLA: বীরবাহা এবং দুলালের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের থানাগুলিতে অভিযোগ দায়ের করবে কুড়মিরা
Kurmi: জঙ্গলমহলের সব থানাতে বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও বিধায়িক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে বলে জানাল কুড়মি আন্দোলনকারীরা। বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে।
মেদিনীপুর: এসটি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এ রাজ্যের কুড়মি সমাজ। গত কয়েক মাসে সেই আন্দোলের ঝাঁঝ অনেকটাই বেড়েছে। নব জোয়ার কর্মসূচিতে যাওয়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। সে সময় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এর পর বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাপ বেড়েছে কুড়মিদের উপর। এর পাল্টা হিসাবে বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনা করেছে কুড়মি সমাজ। জঙ্গলমহলের প্রতিটি থানাতেই এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে বুধবার মেদিনীপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা।
জঙ্গলমহলের সব থানাতে বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও বিধায়িক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে বলে জানাল কুড়মি আন্দোলনকারীরা। বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে। ঝাড়গ্রাম জেলার গড় শালবনি এলাকায় অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনার পর থেকেই কুড়মি সমাজের উপর প্রশাসনের চাপ বেড়েছে। এর বিরুদ্ধে আগামী দিনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাও করছেন কুড়মিরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও এ দিন জানিয়েছেন তাঁরা। আগামী দিনে তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন কুড়মিরা।
এ বিষয়ে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুদীপ রায়বর্মণ বলেছেন, “আমাদের যে সমস্ত নেতা, সমর্থকার গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের হয়ে আমরা আইনি লড়াই করব। প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাব। দুলাল মুর্মু ও বীরবাহা হাঁসদা যে রকম মন্তব্য করেছেন, তার জন্য আমরা বিধায়কের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের সমস্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করব। এই আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রতিটি ঘর থেকে এক টাকা করে নেওয়া হবে।”
কুড়মি এই পদক্ষেপের বিষয়ে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, “যে কোনও সম্প্রদায় যে কোনও ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করতে পারে, দাবি জানাতে পারে সরকারের কাছে। কিন্তু কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপকে তৃণমূল সরকার বরদাস্ত করবে না। তৃণমূল শান্তি পছন্দ করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিয়ে আমাদের অসুবিধা নেই। কিন্তু অশান্তি করলে তার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি রয়েছে আমাদের।”