AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ghatal Flood Situation: রাতভর বৃষ্টিতে অশনি সঙ্কেত দেখছে ঘাটাল, ডিভিসি জল ছাড়লে বাড়বে বিপদ

Ghatal: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীরপুরে। আর এতেই ঘুম উড়েছে উপকূলবাসীর।

Ghatal Flood Situation: রাতভর বৃষ্টিতে অশনি সঙ্কেত দেখছে ঘাটাল, ডিভিসি জল ছাড়লে বাড়বে বিপদ
চন্দ্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 9:29 AM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: দুর্ভোগ-দুর্যোগ থেকে মুক্তি নেই ঘাটালবাসীর (Ghatal)। রবিবার রাতভর বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। মাঝেমধ্যে দু-এক পশলা বৃষ্টি (Flood Situation)। তাতেই দুর্ভোগ বাড়িয়েছে ঘাটালের বাসিন্দাদের। ডিভিসি থেকে যদি জল ছাড়ে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে মনে করছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।

ঘাটাল পৌর এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডে এখনও জলের তলায়। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট- পানীয় জলের কল সবই জলের তলায়। বাড়ি থেকে বের হলে নৌকো বা ডিঙি একমাত্র যাতায়াতের উপায়। শুধু ঘাটাল পৌর এলাকাই নয়, ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও জলের তলায়। যদিও মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, শিলাবতী নদী ও ঝুমি নদীর জল কিছুটা হলেও কমেছে। এমনকি নিচু এলাকা থেকে জল কমতে শুরু করেছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীরপুরে। আর এতেই ঘুম উড়েছে উপকূলবাসীর। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সত্তর হাজার পরিবার। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ মেনে উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরঅফ টিম। চলছে জলমগ্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজ। কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ-ও পৌঁছে গিয়েছে। বিপদগ্রস্থ মানুষকে শুকনো খাওয়ার বিতরণ বিভিন্ন জায়গায়।

আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঘাটালের বানভাসি মানুষের জনজীবন। জল কমেছে ঘাটাল, শিলাবতি ও চন্দ্রকোনা নদীগুলিতে। বৃহস্পতিবারই কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙেছে ৬ নম্বর চাইলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামকিশোরপুর এলাকায়। বেশ কয়েক ফুট নদী বাঁধ ভেঙে পরপর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবনের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসনের। ওই সমস্ত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে পার্শ্ববর্তী উঁচু সরকারি জায়গাতে স্থানান্তরিত করা হয়।

ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে জল জমে দুর্ভোগে পড়েন রোগীর আত্মীয়-সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় বৃষ্টি হলেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে জমে হাঁটু সমান জল। দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীর আত্মীয় সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ও জলে ডুবেছে। হাসপাতালে আসা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি নালার কারণেই বৃষ্টি হলেই হাসপাতাল চত্বরে জল জমে যায়।

অবিরাম বৃষ্টির জেরে কেশিয়াড়ি ব্লকের ইতিমধ্যেই প্রায় দুশোটির কাছাকাছি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই রাতে দেয়াল চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এক মাস আগের বন্যার ক্ষত এখনও সারেনি, ঝুমী নদীর জলের তোড়ে ভেঙেছিল একাধিক কাঠের সাঁকো, সমস্যায় পড়েছিলেন মনসুকা গ্রামের বাসিন্দারা। যাতায়াতের জন্য জল কমতেই বাঁশ ও কাঠের সাঁকো পুনরায় তৈরি করেছিলেন তাঁরা। আবার বৃষ্টির ফলে ঝুমী নদীর জল বাড়ায় সমস্ত সাঁকো জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে।

আরও পড়ুন: Weather Update: আগামী ২ ঘণ্টার মধ্যেই চার জেলায় মুষুলধারে বৃষ্টি, সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের