Tea Shop: নামে কী বা আসে যায়! সুজিতের ‘ফালতু চা’ খেতেই দেদার ভিড় দোকানে

Tea Shop: আহমেদাবাদে একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতেন সুজিত। নোটবন্দির সময় নানা কারণে কাজ ছেড়ে চলে আসতে হয় তাঁকে। তারপরেই তৈরি করেন এই দোকান।

Tea Shop: নামে কী বা আসে যায়! সুজিতের ‘ফালতু চা’ খেতেই দেদার ভিড় দোকানে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 8:29 PM

চন্দ্রকোনা: দোকানের নাম দেখে ভ্রুকুঞ্জিত হবে যে কোনও ব্যক্তিরই। পশ্চিম মেদিনীপুরের(Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই ডাকবাংলো মোড়ে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের পাশে রয়েছে সুজিত রায়ের চায়ের দোকান(Tea Shop)। দোকানের নাম ‘ফালতু চা’। কিন্তু, নামে কী আসে যায়। কিন্তু, এ নামেই বেড়েছে কৌতূহল। এই নামেই দেদার বিকোচ্ছে চা। প্রথমে দোকানের নাম দেখে যে কেউ ভাববেন কেন এমন নাম দোকানের? সেই কৌতূহল থেকেই অনেকেই ভিড় জমান এ দোকানে। 

ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা সুজিত রায় (৩২) বছর তিনেক আগে এ দোকান তৈরি করেন। আগে তিনি আহমেদাবাদে একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতেন। নোটবন্দির সময় নানা কারণে কাজ ছেড়ে চলে আসতে হয় সুজিতকে। সুজিতের বাবা চাষবাসের সঙ্গে একটি ছোট ইমিটেশনের দোকান চালান। কিন্তু, আহমেদাবাদ থেকে ফিরে এসে সংসারের হাল ধরতে এই চা’য়ের দোকান তৈরি করেন সুজিত। দোকানে চা’য়ের সঙ্গে পাওয়া যায় টোস্ট-বিস্কুট। বেচাকেনা মন্দ নয়।

কিন্তু দোকানের এমন অদ্ভূত নাম কেন?  এ প্রসঙ্গে সুজিত বলেন, “অনেকে অনেক রকম নাম দেন। তাই আমি এমনই একটা নাম দিয়ে  আকর্ষণ করতে চেয়েছি পথচলতি মানুষদের। লোকজন ভাবুক এটা নিয়ে।” সুজিত বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। দুটো পয়সা রোজগারের জন্য বাইরে চলে গেয়েছিলাম কাজে। নোটবন্দির সময় চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন কেটেছে। নানা সমস্যার মধ্যে প্লাস্টিক কারখানার কাজ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। ফিরে এসে তাই এই চায়ের দোকান করেছি। নিজের ঢাক নিজে না পিটিয়ে দোকানের নাম দিয়েছি ফালতু চা। আর এই নামে দোকান বেশ ভালোই চলছে। তাই নামে কী আসে যায়।” অন্যদিকে স্থানীয় লোকজনের কথায়, দোকানের নাম ফালতু চা হলেও, চা কিন্তু মোটেও ফালতু নয়। বরং বেশ ভালো খেতে। অনেকেই বলছেন শুরুতে নাম দেখে কৌতূহলের কারণেই ঢুঁ মেরেছিলেন এই চায়ের দোকানে। শেষে সুজিতের চায়ের প্রেমে পড়েছেন সকলেই।