AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Microfinance companies: ‘লকডাউনে কাজ গিয়েছে,চড়া সুদ মেটাব কী করে?’ সরকারের কাছে ঋণ মেটানোর আর্জি ঋণগ্রহীতাদের

Purba Bardhaman: ঠিক যেন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠে একাধিক মাইক্রোফাইনান্স(ক্ষুদ্র ঋণদানকারী) সংস্থা।

Microfinance companies: 'লকডাউনে কাজ গিয়েছে,চড়া সুদ মেটাব কী করে?' সরকারের কাছে ঋণ মেটানোর আর্জি ঋণগ্রহীতাদের
মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্য
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 7:10 AM
Share

পূর্ব বর্ধমান: রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় ঠিক যেন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠে একাধিক মাইক্রোফাইনান্স(ক্ষুদ্র ঋণদানকারী) সংস্থা। আর একবার এইসব সংস্থা থেকে ঋণ নিলেই হল, তা শোধ করতে-করতে কখন যে দেনার দায়ে জড়িয়ে পড়েন গরিব মানুষগুলি তা বুঝতেও পারেন না। এই সংস্থার সুরাহা পেতে প্রাশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকই। কেউ-কেউ আবার যোগাযোগ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে।

ঘটনাস্থান বর্ধমান ২ নং ব্লকের বেগুট গ্রাম। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষজনই ক্ষুদ্রঋণদান সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ঋণ শোধ করতে গেয়েই সবশেষ মানুষগুলোর। কখনও যে ঋণের দায়ে জড়িয়ে পড়েছেন তা বুঝতেও পারেননি এরা। এখন সব শেষ। সংসার চালাবেন নাকি ঋণ শোধ করবেন এই ভেবেই মাথায় হাত পড়েছে তাদের।

গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা সহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ওই গ্রামে যান। এলাকাবাসী তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁদের কাছে। কীভাবে তাদের উপর চলেছে এই মানসিক অত্যাচার সেই কথাও মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের জানান তাঁরা।কমিশনের মাধ্যমে সরকারের কাছে ঋণমুকুবের আবেদন জানান ঋণগ্রস্থরা।

বেগুটের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রথমে কৃষি কাজের জন্য এই সংস্থাগুলি থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। লকডাউনের সময় সুদের ওপর সুদ চেপে ক্রমশ ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছি। সুদের পরিমাণ দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে। একজনের সুদ কমাতে অন্য আর এক সংস্থা থেকে চড়া সুদের ঋণ নিতে হয়েছে।এই ভাবে ঋণের ফাঁসে জড়িয়ে পরে সংস্থাগুলির অত্যাচার অত্যাচারিত হচ্ছে। কীভাবে চলবে আমাদের জানি না।”

অপর এক ঋণগ্রহীতা অপু বাগ বলেন, “কাজের জন্য দু’টি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। লকডাউনের সময় কাজ বন্ধ, রোজকার বন্ধ থাকায় ঠিক মতো ঋনের টাকা মেটাতে পারেননি। সংস্থাগুলি লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে ঝামেলা করছে। দিনের পর দিন এই অত্যাচারের জ্বালায় বাড়ি ছেড়ে পালানোর মতো অবস্থা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণে সকলেই চাইছে তাদের ঋণের সুদ মুকুব করার ব্যবস্থা করুক সরকার। তার সঙ্গে ঋণের আসল টাকা শোধ করতে সময় দেওয়া হোক আমাদের।”

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: লাঠি,বাঁশ নিয়ে ভাঙচুর শুভেন্দুর গাড়ি! ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের