Cyber Crime: OTT-র সাবস্ক্রিপশনেই ফাঁদ? ২,৫৪,০৬৪ টাকা খোয়ালেন বর্ধমানের ব্যবসায়ী
Cyber Crime: ওই ব্য়বসায়ী জানান, তাঁর ফোনে গত তিন মাস আগে তিনি একটি ওটিটি প্লাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন নিয়েছিলেন। তিন মাস পেরিয়ে গেলে সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর ওই ওটিটি সংস্থার তাঁর অজান্তে অ্যাকাউন্ট থেকে আবার তিন মাসের টাকা কেটে নেয় বলে অভিযোগ।
পূর্ব বর্ধমান: অনলাইনে লেনদেনের সুবিধা যেমন উপভোক্তারা পাচ্ছেন, তেমনই ক্রমশ বেরিয়ে আসছে কালো দিকটাও। কখনও ইউপিআই, কখনও ওটিটি, কখনও শপিং সাইট- বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবার সেই সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হারালেন এক ব্যবসায়ী। ওটিটি প্লাটফর্মে সাবস্ক্রিপশনের টাকা ফেরত পেতে গিয়ে তিনি পড়ে যান এমনই এক অসাধু চক্রে। লেনদেন করতে যেতেই তাঁর ইউপিআই অ্যাকাউন্ট চলে যায় সেই সাইনার অপরাধীদের হাতে। এরপর একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া যায় মোট ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৪ টাকা। আপাতত পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের মাধবীতলা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দত্ত। তিনি পেশায় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর তিন দফায় এই টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী।
ওই ব্য়বসায়ী জানান, তাঁর ফোনে গত তিন মাস আগে তিনি একটি ওটিটি প্লাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন নিয়েছিলেন। তিন মাস পেরিয়ে গেলে সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর ওই ওটিটি সংস্থার তাঁর অজান্তে অ্যাকাউন্ট থেকে আবার তিন মাসের টাকা কেটে নেয় বলে অভিযোগ। সেই টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েই বিপদে পড়ে যান প্রসেনজিৎ বাবু।
গুগল সার্চ করে একটি নম্বরে যোগাযোগ করেন টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য। এরপর অন্য একটি নম্বর থেকে প্রসেনজিৎ বাবুর কাছে ফোন আসে। ওই ওটিটি সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন ফোনের ওপারের ব্যক্তি। এরপর একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয় ব্যবসায়ীকে। একটি অ্যাকাউন্টে ১ টাকা পাঠাতে বলা হয় তাঁকে। অ্যাপ ডাউনলোড করে এক টাকা পাঠিয়েও দেন প্রসেনজিৎ বাবু। এরপরই মোবাইল চলে যায় হ্যাকারদের দখলে!
তাঁর ‘ফোন পে’-র সঙ্গে যুক্ত থাকা সবকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চার দফায় মোট ২৫৪০৬৪ টাকা গায়েব হয়ে যায়। প্রসেনজিৎ বাবুর দাবি, একটা সময় তিনি নিজের ফোনে আর কোনও কাজই করতে পারছিলেন না কারণ ফোনটি সাইবার অপরাধীদের দখলে চলে গিয়েছিল। প্রথম দফায় একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭৯০৮ টাকা কাটা হয়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্বিতীয় দফায় অন্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা হয় ৭৭৯০৮ টাকা, তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় ৪৯১২৩ এবং ৪৯১২৩ টাকা তুলে নেন প্রতারকরা। এরপর প্রসেনজিৎ বাবু ব্যাঙ্কে গিয়ে তার অ্যাকাউন্টগুলি লক করেন এবং কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।