CCTV installation protest: স্টাফরুমে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে অধ্যক্ষ-অধ্যাপকদের মধ্যে তুমুল বচসা, শিকেয় কলেজের পঠনপাঠন
CCTV installation protest: অধ্যাপকদের বচসা দেখতে স্টাফরুমের বাইরে ভিড় করতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। কোনও অধ্যাপকই ক্লাসে না যাওয়ায় শিকেয় ওঠে পড়াশোনা। খবর চাউর হতেই গোটা ক্যাম্পাসেই বিস্তর চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। যদিও বিতর্কের আবহেই অধ্যক্ষ বসন্ত খামরুইয়ের দাবি, কলেজের নিরাপত্তার স্বার্থেই তিনি এই কাজ করেছেন।
মন্তেশ্বর: সিসিটিভি বসানোকে কেন্দ্র করে এখনও চাপানউতোর চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকে সিসিটিভি ও নিরাপত্তার ইস্যুতে রোজই পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসছে নানা মতামত। এরইমধ্যে কলেজের স্টাফ রুমে সিসি ক্যামেরা বসানোর তৎপরতাকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে তুমুল বচসা দেখা গেল। সরগরম গোটা কলেজ ক্যাম্পাস। তবে এবার আর যাদবপুর নয়। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের ডাঃ গৌরমোহন রায় কলেজের।
ঝামেলার জেরে এদিন দিনভর কার্যত কোনও ক্লাসই হল না কলেজে। অধ্যাপকদের একাংশের অভিযোগ, সিসিটিভি বসানোর বিষয়ে আগে থেকে কোনও আলোচনা করা হয়নি। আচমকা তাঁরা আজ দেখেন স্টাফরুমের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর জন্য কয়েকজন এসেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা কাজও শুরু করে দেন। ঘটনা দেখে তার প্রতিবাদ করেন অধ্যাপকেরা। সূত্রের খবর, এই সময়ই আসরে নামেন খোদ কলেজের অধ্যক্ষ বসন্ত খামরুই। জানা যায় তিনি সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্য অধ্যাপকেরা। অধ্যক্ষের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় অধ্যাপকদের। কেন স্টাফরুমে কোনও আলোচনা, অনুমতি ছাড়া সিসিটিভি বসানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলতে থাকেন। অধ্যাপকদের বচসা দেখতে ততক্ষণে স্টাফরুমের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন পড়ুয়ারাও। কোনও অধ্যাপকই ক্লাসে না যাওয়ায় শিকেয় ওঠে পড়াশোনা। খবর চাউর হতেই গোটা ক্যাম্পাসেই বিস্তর চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। যদিও বিতর্কের আবহেই অধ্যক্ষ বসন্ত খামরুইয়ের দাবি, কলেজের নিরাপত্তা স্বার্থেই তিনি এই কাজ করেছেন। র্যাগিং রুখতে তিনি সরকারি নির্দেশিকা মেনে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।