রবীন্দ্রনাথকে এড়িয়ে সংগঠন দেখতে নতুন নেতা আনলেন অনুব্রত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস?

Anubrata Mondal: কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক হিসাবে বিগত কয়েক বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলার তিনটি বিধানসভাই বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত থাকায় এই এলাকাগুলির দায়িত্বভার ন্যস্ত থাকে অনুব্রতের হাতে।

রবীন্দ্রনাথকে এড়িয়ে সংগঠন দেখতে নতুন নেতা আনলেন অনুব্রত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস?
অনুব্রতর ঘোষণার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গন্ধ পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 12:05 AM

কাটোয়া: একই পদে দুই নেতা! বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও পূর্ব বর্ধমান জেলার নয়া তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রকাশ্যে এলো। প্রকাশ্য সভা থেকেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত রবীন্দ্রনাথের নিজের গড় কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে দিলেন তাঁর এক অনুগামীকে। আর এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

এদিকে অনুব্রত মণ্ডল দায়িত্ব দিলেও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, দলের নির্দেশে কাটোয়া শহর দেখার জন্য শহর সভাপতি আছেন। এ বিষয়ে অন্য কারও সঙ্গে কথাবার্তা হয়নি তাঁর। পুরোটাই তাঁর ব্যক্তিগত মত। আর যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল সেই জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বানার্জী বলছেন, অনুব্রত মণ্ডলের কথা অনুযায়ীই কাটোয়া শহরে তিনি দলের হয়ে কাজ শুরু করবেন। কাটোয়ার ব্লকগুলিতে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ অনুব্রতবাবু তাঁকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক হিসাবে বিগত কয়েক বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলার তিনটি বিধানসভাই বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত থাকায় এই এলাকাগুলির দায়িত্বভার ন্যস্ত থাকে অনুব্রতের হাতে। আর রবিবার মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান অনুষ্ঠানে এসে মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম ব্যানার্জীকে মঙ্গলকোট কেতুগ্রামের পাশাপাশি কাটোয়া শহর দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে দেন অনুব্রত।

তৃণমূল রাজ্য স্তরের নির্দেশে কাটোয়া শহর সভাপতি শুভ্রা রায় দায়িত্বে থাকলেও অনুব্রত তাঁর কাছের লোক অরিন্দম ব্যানার্জীকেই কাটোয়া শহর দেখার ভার দিলেন। আর এতেই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। একই জায়গায় দুই জন নেতা একই দায়িত্বে পেয়ে কী ভাবে কাজ করবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এতেই প্রকাশ্যে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ দুই পক্ষই।

উল্লেখ্য, এদিনই অনুব্রত জানিয়েছেন এবার তিনি ত্রিপুরায় খেলতে যাবেন এবং কর্নার থেকে গোল করবেন। মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ‘কেষ্ট’। সেখানে অনুব্রত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন ভোটের আগে বিজেপি নেতৃত্ব যেভাবে মিথ্যা কথা বলেছে, তাতে কোনও মানুষ আর ওই দলে থাকতে চাইছে না। সেজন্য বিজেপি থেকে দলে দলে কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তার পরই অনুব্রত জানিয়ে দেন তিনি ত্রিপুরা যাবেন।

তবে শুধু খেলবেনই না সে খেলায় গোলও করবেন বলে মন্তব্য করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, “আমি এবার ত্রিপুরায় গিয়ে খেলব। খেলে কর্নার থেকে গোলও দেব।” রবিবার এভাবেই মঙ্গলকোটের মাটি থেকে ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের (BJP Leader) হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।

আরও পড়ুন: অনুব্রতর আশঙ্কাই সত্যি! আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই ৩ জন