BDO Gherao: বিডিও অফিসের বাইরে ১৪৪ ধারা, বিজেপির ঘেরাও কর্মসূচি রুখতে কড়া প্রশাসন
Purba Bardhaman: ২১ জুলাই অর্থাৎ আগামিকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিডিও অফিসের একশো মিটারের চত্বরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। বিডিও অফিসের একশো মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত, স্লোগান বা বিক্ষোভ দেখানো যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান: একুশে জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস। আর এই দিনেই পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের সব বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। আর এরই মধ্যে কড়া পদক্ষেপ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। পূর্ব বর্ধমানের সদর (উত্তর) মহকুমাশাসক একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সদর (উত্তর) মহকুমার অন্তর্গত সব বিডিও অফিসগুলির আশপাশের এলাকায় কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহকুমাশাসক। ২১ জুলাই অর্থাৎ আগামিকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিডিও অফিসের একশো মিটারের চত্বরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। বিডিও অফিসের একশো মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত, স্লোগান বা বিক্ষোভ দেখানো যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার বাকি মহকুমাগুলিতেও একইভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
রাত পোহালেই তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ। তৃণমূল যখন কলকাতার বুকে সভা করবে, তখন জেলায় জেলায় বিডিও অফিসগুলি ঘেরাও করতে মাঠে নামবে বিজেপি। বিজেপির এই পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে আজ প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, ‘ফুটেজে’ টিকে থাকার জন্যই ২১ জুলাই দিনটিকে ঘেরাওয়ের জন্য বেছে নিয়েছে বিজেপি। যদিও প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই যে ঘেরাওয়ের অধিকার রয়েছে, সে কথাও বলেছেন তিনি।
অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ‘বিজেপির যদি সদিচ্ছা থাকত, তাহলে তারা ২২ তারিখ বা ২৩ তারিখে, বা ২০ তারিখে করতে পারত। ঘেরাও করার অধিকার সবার আছে। গণতান্ত্রিকভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি বা গণআন্দোলন করার অধিকার শাসকেরও আছে, বিরোধীদের আছে। কিন্তু ২১ তারিখই কেন বেছে নেওয়া হল? কারণ ওরা ফুটেজে থাকতে চায়। এরা ফুটেজের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।’