‘রাত বাড়লেই মদের ফোয়ারা ছোটে’, তৃণমূলের ২ নেতার বিরোধে উত্তপ্ত লিচুপাড়া

TMC Clash: শুক্রবার সকালে এসে দেখা যায়, দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছেঁড়া হয়েছে। ঘটনায় এলাকার দুই তৃণমূল নেতা রাজ ও বুলার দিকে অভিযোগ দলের।  

'রাত বাড়লেই মদের ফোয়ারা ছোটে', তৃণমূলের ২ নেতার বিরোধে উত্তপ্ত লিচুপাড়া
তৃণমূল নেতা মহম্মদ মুক্তার মিঞা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 12:42 PM

পূর্ব বর্ধমান: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের লিচুতলায় তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। তৃণমূলেরই দুই স্থানীয় নেতার মধ্যে বিরোধের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ দলের তরফে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

তৃণমূলের (TMC) জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মহম্মদ মুক্তার মিঞার অভিযোগ, এলাকায় দুই তৃণমূল নেতার ব্যক্তিগত বিরোধের ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। বদনাম হচ্ছে তৃণমূলেরই। দলে থেকে দলবিরোধী নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। ওই দুই নেতার বিরোধের জেরেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে এসে দেখা যায়, দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছেঁড়া হয়েছে। ঘটনায় এলাকার দুই তৃণমূল নেতা রাজ ও বুলার দিকে অভিযোগ দলের।

মহম্মদ মুক্তার মিঞার কথায়, “রাত বাড়লেই এখানে মদের ফোয়ারা ছোটে। রাজ আর বুলা নামেই তৃণমূল করে। তবে নামেই। কার্যালয়ে এসে হামলা করা, ‘জ্বালিয়ে দেব’ বলে হুমকি দেওয়া,  পতাকা নামিয়ে দিয়ে ভাঙচুর চালানো এসব কাদের কাজ আমি জানি। আমি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলাম। সবটা পারিনি। প্রশাসনকে জানিয়েছি। জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। তারপর দল যা করার করবে।”

তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ হেনেছে গেরুয়া শিবির। বর্ধমান সদর জেলা বিজেপি সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, “তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন কিছু নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ বছর ধরে টাকা খাইয়ে এক শ্রেণির লোকের পেটমোটা করিয়েছেন, এ বার আরও এক শ্রেণির করছেন। এখন পৌরপ্রশাসক বদল হয়েছে। সেই নিয়েই ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। বামফ্রন্ট বিজেপি হয়ে তৃণমূলে যোগদানকারী পৌরপ্রশাসক নিয়ে তো ক্ষোভ ওদের নিজেদের মধ্যে। সেই থেকে ঝামেলা। এতে নতুন করে বলার কী রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সদ্যই, সাংগঠিনক দিক থেকে জেলায় একাধিক বদল এনেছে শাসক শিবির। পৌরসভায় বিভিন্ন নতুন মুখদের সামনে আনা হয়েছে। বাদ গিয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্ব। বর্তমানে, বর্ধমানের সহ-পৌর প্রসাশক আইনুল হক। তিনি প্রথমে বামফ্রন্টের আমলে চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখান থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। শেষে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সহ-পৌর প্রশাসকের পদ প্রাপ্ত হন। এরপরেই তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরেই বিরোধ চরমে ওঠে। যদিও, সেই বিরোধের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। আরও পড়ুন: দামোদরে সক্রিয় মাফিয়ারাজ, রাতের অন্ধকারে আটক ২৫টি বালি বোঝাই নৌকা