TMC: ঠকিয়েছিলেন জামাইকেও, চাকরির নামে প্রতারণা, তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্ট দেখতেই চোখ কপালে পুলিশের
TMC Leader: পাশাপাশি অভিযুক্ত উপপ্রধান সাম্প্রতিক কোনও জমি কিনেছেন কি না তা জানতে ভূমি সংস্কার দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে মঙ্গলকোট থানার তরফে।
মঙ্গলকোট: প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা হেকমত আলির বিরুদ্ধে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি স্বয়ং তার জামাইও। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় মঙ্গলকোটে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সেই প্রতারণা কাণ্ডে এবার তৃণমূল নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের হদিশ পেল পুলিশ। এই টাকা কি প্রতারণা নাম করে ফাঁদ পেতে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে তোলা টাকা ? তদন্ত শুরু করেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত উপপ্রধান সাম্প্রতিক কোনও জমি কিনেছেন কি না তা জানতে ভূমি সংস্কার দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে মঙ্গলকোট থানার তরফে। এছাড়াও উপ-প্রধানের সঙ্গে এই প্রতারণা চক্রের আর কে কে জড়িয়ে আছে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে।
আজ গ্রেফতার হওয়া উপপ্রধান হেকমত আলিকে তদন্তের জন্য কাটোয়া আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক ধৃতের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান হেকমত আলি। প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে অভিযুক্ত উপপ্রধান প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, পাশাপাশি বীরভূম ও মঙ্গলকোট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণে টাকা তোলে হেকমত আলি।
সূত্রের খবর, মোট এগারো জনের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী নিজের জামাইয়ের কাছ থেকে চাকরি দেবার নামে টাকা নেন বলে খবর। উপপ্রধানের নামে মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা নামে এক প্রতারিত। তিনি বীরভূমের কিন্নাহারের বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ পেয়েই পুলিশ উপপ্রধানকে গ্রেফতার করেছে।
যদিও, সেই সময় নেতার স্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘ওরা কিছুই দেখাতে পারেনি। সম্পূর্ণটাই মিথ্যে কথা। নিজেরা সাজিয়ে লিখে এনে আমার স্বামীর নামে মিথ্যে কথা বলেছে।’