Sand Trafficking: বালিখাদান থেকে অবৈধভাবে বালি চুরির অভিযোগ, গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা

Katwa: অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা হলেন জামু শেখ ও জাহিরুল শেখ।  বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মদক্ষ কেরিম খানের ছায়াসঙ্গী তাঁরা।

Sand Trafficking: বালিখাদান থেকে অবৈধভাবে বালি চুরির অভিযোগ, গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা
অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 1:41 PM

কাটোয়া: অজয় নদীর বাঁধ থেকে অবৈধভাবে বালি চুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার দুই তৃণমূল নেতা। বীরভূমের নানুর থেকে এসে মঙ্গলকোটের অজয় নদী থেকে অবৈধভাবে বালি চুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা হলেন জামু শেখ ও জাহিরুল শেখ।  বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মদক্ষ কেরিম খানের ছায়াসঙ্গী তাঁরা। কয়েকদিন আগেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ খবর পায় জামু শেখের লোকেরা ওই এলাকায় ঢুকে অবৈধভাবে বালি চুরি করছে। এরপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। পরে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে। সেই ঘটনাতেই জামু শেখ ও জাহিরুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, দশ থেকে বারো দিন আগে ওই এলাকার বালি খাদানকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই দুই তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা অনুব্রত গড় বীরভূম থেকে এসে মঙ্গলকোটে নিজেদের ‘প্রভাবশালী’ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালি খাদান দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে তাঁরা বালি তুলে অন্যত্র বিক্রি করতেন বলেও অভিযোগ। এই সকল বিষয়ের তদন্তে নেমে বুধবার রাত্রিবেলা পুলিশ জামু শেখ ও জাহিরুল শেখকে গ্রেফতার করে।

বস্তুত, অনুব্রত গড় বীরভূম। সেখানে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা কেরিম খানের অনুগামী হলেন আজাহার। তার একটি বালিখাদান রয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, আজাহারের বাবা এবং কাকা হলেন জামু শেখ ও জাহিরুল শেখ। দীর্ঘদিন ধরেই এই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁরা বালি খাদানের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি আরও অভিযোগ যে, মঙ্গলকোট এলাকাতেও এরা একটি বালিঘাট অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয় সেখান থেকে বালি বিক্রিও করছে। এরপর গুলি চালানোর ঘটনা নড়েচড়ে বসে পুলিশ। আর গতকাল গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।

বিজেপি নেতা রানাপ্রতাপ গোস্বামী বলেন, “চুরি হচ্ছে তৃণমূলের পেশা। চুরি করেই তৃণমূল তারা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। আর এই ভাবেই ওরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে।” তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের কারোর প্রতিক্রি পাওয়া যায়নি।