CBI Raid: কলেজ পড়ুয়ার বাড়িতে সিবিআই হানা, নিয়ে গেল মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক

Purba Burdwan: শিশু ও যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত কোনও মামলায় এই তদন্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নাদনঘাটের যুবকের ইমেল আইডি ব্যবহার করে কোনও অপরাধ হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

CBI Raid: কলেজ পড়ুয়ার বাড়িতে সিবিআই হানা, নিয়ে গেল মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 5:01 PM

পূর্ব বর্ধমান: পকসো আইনে মামলা। সেই মামলার তদন্তে নেমে নাদনঘাটে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দল। শনিবার সকালে নাদনঘাটে একটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই বাড়ির ছেলে, তৃতীয় বর্ষের কলেজ পড়ুয়া এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। একইসঙ্গে ওই যুবকের মোবাইল ফোন ও একটি হার্ড ডিস্ক নিয়ে যান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী অভিযোগের ভিত্তিতে এই হানা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যে বাড়িতে অভিযান, সেই পরিবারও স্পষ্ট করে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। শুধু জানিয়েছে, কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের ফোন এলে ‘সিজার লিস্টে’ থাকা ফোন, হার্ড ডিস্ক ফেরত পাবে তারা। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই ঢাক ঢাক গুড় গুড় শুরু হয়েছে। তবে সে সার্চ লিস্টটি সামনে এসেছে, সেখানে ধারা হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ৬৭-বি আইটি অ্যাক্টের। গুগল বলছে, এই ধারা শিশুদের প্রতি ‘সেক্সুয়াল অফেন্স’-এর ধারা।

জানা গিয়েছে, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ বিশেষ আদালতে একটি নির্দেশের প্রেক্ষিতে এই তল্লাশি। নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই যুবক বলেন, “এদিন কয়েকজন আসেন। এসে বলেন, সিবিআই থেকে এসেছেন। নাম, বিস্তারিত জানতে চান আমার। ফোন, ল্যাপটপ পরীক্ষা করেন। কিছু বিষয় জানতে চান। তবে সেরকম কিছু বলেননি। হয়ত পরে বলতে পারেন। আমার কাছ থেকে হার্ড ডিস্ক, মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছে। কোথা থেকে কী ব্যাপার কিছু জানাননি। মনে হয় অ্যাকাউন্টে কিছু পেয়েছে। আমার জিমেল, হোয়াটসঅ্যাপ সব চেক করলেন।”

শিশু ও যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত কোনও মামলায় এই তদন্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নাদনঘাটের যুবকের ইমেল আইডি ব্যবহার করে কোনও অপরাধ হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি। ওই ছাত্রের বাবা বলেন, “আমার ছেলে কলেজে পড়ে। ল্যাপটপ নিয়েই পড়াশোনা করে। আর কিছুই করত না। কেন এদিন সিবিআই এল তাও জানি না। আমরা জানতে চেয়েছিলাম কী বিষয়। বলল, এখন সেসব বলা যাবে না। বলল কয়েকদিন পর ফোন করবে। কলকাতায় গিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে আসতে হবে।” এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি দল তাঁদের বাড়িতে যান। বেরোন তখন প্রায় সাড়ে ১২টা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তদন্তের গতিপ্রকৃতি কী ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, চারজন আধিকারিক ছিলেন এদিন। নাদনঘাট থানার পুলিশও ছিল বলেই দাবি ওই পরিবারের। যদি এ নিয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

প্রসঙ্গত, শনিবার সিবিআই ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনলাইন ও ইন্টারনেটে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়া সংক্রান্ত মামলা নিয়েই এই তল্লাশি। সিঙ্গাপুর ইন্টারপোল অফিসারদের তরফে খবর পাওয়ার পরই এই তল্লাশি চলে বলে জানা গিয়েছে। নাদনঘাটের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না তা নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।