Burdwan Medical College Hospital: এক মাসেই ১০ জন, প্রসূতি মৃত্যু ভাবাচ্ছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে
Purba Burdwan: বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু জেলার মানুষই নন, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি থেকে বহু মানুষ আসেন।
পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে একটা উদ্বেগের চিত্র তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, গত মার্চ মাসে ১০ জন প্রসূতি মারা গিয়েছেন এখানে। ২০২১-২২ সালে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। কিন্তু কেন সন্তান জন্ম দিতে এসে এমন পরিণতির মুখে পড়তে হচ্ছে প্রসূতিদের? সেই কারণ খতিয়ে দেখতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক। রাজ্যের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা দেখানো হচ্ছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনও এই কারণ খুঁজতে নেমেছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈঠক করেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। বৈঠকে ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর সেনগুপ্ত, সুপার তাপস ঘোষ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় প্রমুখ। বৈঠকের পর বর্ধমান মেডিকেলের প্রসূতি বিভাগের পরিকাঠামোও ঘুরে দেখেন তাঁরা।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, “আগেই আমরা প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে একটি বৈঠক করি। সেটা কেন আমাদের জেলায় একটু বেশি তা নিয়ে আলোচনা হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে আসি। এখনও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে সেটা কমানো যায় সেটাই আমরা দেখছি। আমরা লেবার ওয়ার্ড, গাইনো বিভাগ ঘুরে দেখেছি। যা দেখলাম তাতে পরিকাঠামোগত কোনও সমস্যা এখনও নজরে পড়েনি। ডাক্তারও রয়েছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও আছে। আমরা সবটাই খতিয়ে দেখব।”
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা দেখব যখন প্রসূতি প্রথম দেখাতে আসছেন, ভালভাবে যেন পর্যবেক্ষণ করা যায়। কোনও সমস্যা থাকলে তাড়াতাড়ি সেটা ধরা পড়া খুবই দরকার। গতি বাড়িয়ে সবটা করতে হবে। আসলে অনেকেই জেলা হাসপাতাল বা মহকুমা হাসপাতাল থেকে আসেন। সেসব জায়গায়ও পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা। একাধিক ডাক্তারকে রাখা। এসব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। আমরা স্বাস্থ্য দফতরের মান কখনওই ছোট হতে দেব না।”
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু জেলার মানুষই নন, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি থেকে বহু মানুষ আসেন। পড়শি রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও রোগী আসেন চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সূচক অনুযায়ী মাসে তিন থেকে চারজনের প্রসবকালীন মৃত্যু স্বাভাবিক। সেখানে ২০২০-২১ সালে এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসবকালীন মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের এবং ২০২১-২২ সালে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। যা সূচকের উপরে বলেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। গত তিন মাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাই স্বাস্থ্য দফতরও নড়েচড়ে বসেছে।
আরও পড়ুন: Raiganj Coronation High School: রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করল হাইকোর্ট