Co-operative in Haldia: সমবায়েও টাকার নয়ছয়? আমজনতার টাকা যেন খোলামকুচি! বড়সড় অভিযোগ হলদিয়ায়

Purba Medinipur: আম জনতার জমা রাখা টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুললেন হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বিজেপি নেতা চন্দনকুমার সামন্ত। বিষয়টি নিয়ে হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমবায় দফতর ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার একজন আধিকারিককে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Co-operative in Haldia: সমবায়েও টাকার নয়ছয়? আমজনতার টাকা যেন খোলামকুচি! বড়সড় অভিযোগ হলদিয়ায়
সমবায়ে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2023 | 9:32 PM

হলদিয়া: এবার সমবায়েও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় তৃণমূল সমর্থিত প্যানেল পরিচালিত এক সমবায়ের বিরুদ্ধে এবার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলল বিজেপি। যাবতীয় বিতর্ক হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত বাঁশখানা-জালপাই সত্যনারায়ণ কৃষি সমবায় সমিতি ঘিরে। সেখানে আম জনতার জমা রাখা টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুললেন হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বিজেপি নেতা চন্দনকুমার সামন্ত। বিষয়টি নিয়ে হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমবায় দফতর ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার একজন আধিকারিককে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

কী নিয়ে বিতর্ক? কীসের নয়ছয়ের অভিযোগ? স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই সমবায়ের বেশ কয়েকজন গ্রাহক তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকার গরমিল লক্ষ্য করেন। অভিযোগ, যে পরিমাণ টাকা তাঁরা জমা দিয়েছেন, তা ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতায় দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু গ্রাহকদের সই নকল করে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি গ্রাহকদের সঙ্গে সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ বৈঠকেও বসেছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দেখা গিয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকার গরমিলের অভিযোগ উঠে এসেছে।

এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিডিও-র কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা এলাকার বিজেপি নেতা চন্দন সামন্ত। শাসক শিবিরকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছেন, “ওই সমবায় সমিতি চোরের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। আমি বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি এই নিয়ে।”

এদিকে প্রশাসন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে,  ওই সমবায় সমিতির ক্যাশিয়ার হিসেব বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, ওই সমবায় সমিতিকে একাধিকবার অনলাইন পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।