Purba Medinipur: লোকসভার আগে বাংলায় বড় জয় বিজেপির, একতরফা ছিনিয়ে নিল সব আসন
Purba Medinipur BJP: নন্দকুমারের জালপাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কলাগাছিয়া জালপাই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে একতরফা জয় গেরুয়া শিবিরের। এই সমবায়ে মোট ৯টি আসন রয়েছে। সেখানে ৯টি আসনেই এককভাবে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
নন্দকুমার: লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় আর বড় কোনও নির্বাচন নেই। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। সাংগঠনিক তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। এরই মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে এক সমবায়ের ভোটে চওড়া হাসি বিজেপির মুখে। নন্দকুমারের জালপাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কলাগাছিয়া জালপাই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে একতরফা জয় গেরুয়া শিবিরের। এই সমবায়ে মোট ৯টি আসন রয়েছে। সেখানে ৯টি আসনেই এককভাবে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, সমবায় নির্বাচনে কোনও দলের তরফে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয় না। তবে প্রতিটি দলেরই সমর্থিত প্যানেল থাকে সমবায় নির্বাচনগুলিতে। এই সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি সমর্থিত প্যানেল থেকে এককভাবে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। তিনটি প্যানেল থেকেই সব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তৃণমূল বা বাম সমর্থিত প্যানেলের কেউই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। একতরফাভাবে ৯টি আসনেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন জায়গায় সমবায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বাম সমর্থক ও বিজেপি সমর্থকদের যৌথভাবে সমবায়ে জয় ছিনিয়ে আনতে। তা নিয়ে ‘রাম-বাম’ জোটের তত্ত্বও উস্কে দিয়েছে শাসক শিবির। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বামেদের রাজ্য নেতৃত্বকেও কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার একতরফাভাবে ৯টি আসনেই জয় ছিনিয়ে নিলেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
বিজেপি প্যানেলের জয়ী প্রার্থী ভবেশচন্দ্র বর্মণের বক্তব্য়, “অনুন্নয়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে। আগামী দিনে আমরা জনগণের এই আর্শীবাদকে মাথায় নিয়ে সমবায়ের উন্নয়ন তথা সমবায়ীদের বহুমুখী উন্নয়নকে তরান্বিত করতে বদ্ধপরিকর।”
যদিও এখানেও ‘রাম-বাম’ গোপন আঁতাতের তত্ত্বও খুঁজে বের করছে তৃণমূল শিবির। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নন্দকুমার ব্লক সভাপতি অনুপকুমার ঘোড়ুই বলছেন, “অলিখিতভাবে জোট হয়েছে। সিপিএম ওখানে প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ওদের জোট হয়েছে।”
তবে তৃণমূলের এই গোপন আঁতাতের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শান্তনু দাস। তাঁর বক্তব্য, “একই গোডাউন থেকেই তৃণমূল ও বিজেপি পরিচালিত হয়। এসব বিভ্রান্তিকর কথা বলে কোনও লাভ নেই।”