Saradha: ‘সারদা ফাইল উধাও’ মামলায় পুলিশকে সহযোগিতার আভাস ধৃত ইঞ্জিনিয়ারের, এবার কি খুলবে জট?

Contai: উল্লেখ্য, কাঁথি পুরসভার বর্তমান পুর প্রধান সুবল মান্না 'সারদার ফাইল উধাও' সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।

Saradha: 'সারদা ফাইল উধাও' মামলায় পুলিশকে সহযোগিতার আভাস ধৃত ইঞ্জিনিয়ারের, এবার কি খুলবে জট?
ধৃত ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চৌহান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 11:27 PM

কাঁথি : কাঁথি পুরসভা থেকে ‘সারদা ফাইল উধাও’ সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। সেই মামলায় এবার পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার আভাস দিয়েছেন ধৃত ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চৌহান। পুলিশ সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। কাঁথি আদালতের বিচারকের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, কাঁথি পুরসভার বর্তমান পুর প্রধান সুবল মান্না ‘সারদার ফাইল উধাও’ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন কাঁথি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা। আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ এই সংক্রান্ত বিষয়ে জেরা করেন কাঁথি থানার অফিসাররা। তিন ঘণ্টাও বেশি সময় ধরে চলে সেই জেরার পর্ব। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে কাঁথি থানার তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছিলেন, সুদীপ্ত সেন তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। সুদীপ্তকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা। যদিও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে কাঁথি থানার পুলিশ কর্তাদের শরীরি ভাষা থেকেই বেশ ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

প্রসঙ্গত,  কিছুদিন আগে আদালতে যাওয়ার পথে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন, কাঁথি পুরসভার একটি নির্মাণের জন্য তাঁকে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা দিতে হয়।  উল্লেখ্য, যে সময়ের কথা সুদীপ্ত সেন বলছেন, সেই সময় কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী।

পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিলীপ চৌহান পুুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার ধৃত দিলীপ চৌহানের আইনজীবীর অবশ্য দাবি,” পুরোপুরি রাজনৈতিক পক্ষক্ষেপ করেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। আমার মক্কেলকে সামনে রেখে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে শাসক দল। তাতেই সঙ্গ দিচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।” যদিও এই ধরনের দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক শিবির। তৃণমূলের বক্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষীর শাস্তি হোক।”