Fraud Case: ফিক্সড ডিপোজিটের নামে টাকা জমিয়েছিলেন এক সংস্থায়, রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা ‘গায়েব’

Fraud Case: অভিযোগ আসার পরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রতারণায় অভিযুক্তদের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন বলে অভিযোগ।  ব্যবসায়ী সুমন ঘড়া, স্কুল শিক্ষক মিলন রাউত-সহ একাধিক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ।

Fraud Case: ফিক্সড ডিপোজিটের নামে টাকা জমিয়েছিলেন এক সংস্থায়, রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা 'গায়েব'
প্রতারিতরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2024 | 10:54 AM

পূর্ব মেদিনীপুর: চিটফান্ড সংস্থার কায়দায় বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে প্রতারণার অভিযোগ। কোলাঘাটের কিশোরচক গ্রামে চিটফান্ড সংস্থার অফিসে ঝাঁপ পড়েছে। একাধিক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ফিক্স ডিপোজিট সাপ্তাহিক কালেকশনের মাধ্যমে ওই চিট ফান্ড সংস্থা কয়েক কোটি টাকা তুলেছিল বলে অভিযোগ।

গ্রাহকরা জানাচ্ছেন, প্রথম দিকে তাঁরা টাকা পাচ্ছিলেন। অভিযোগ, রাতারাতি ওই সংস্থা ঝাঁপ ফেলে। কিশোরচকগ্রামে একটি ক্লাব ঘরে ওই চিটফান্ড সংস্থার অফিস চলত বলে জানা গিয়েছে। গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাবঘর ভেঙে পড়েছে, ইতিমধ্যেই সংস্থার তিন কর্ণধারের বিরুদ্ধে কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন প্রতারিত মানুষজন।

অভিযোগ আসার পরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রতারণায় অভিযুক্তদের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন বলে অভিযোগ।  ব্যবসায়ী সুমন ঘড়া, স্কুল শিক্ষক মিলন রাউত-সহ একাধিক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। কিশোরচক গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র আদক জুট মিলে কাজ করেন, কষ্টার্জিত ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা চিটফান্ড সংস্থায় রেখেছিলেন। এক টাকাও ফেরত পাননি। এমনই অবস্থা মঞ্জু সামন্ত, নীলিমা সামন্ত, শান্তি সামন্তদের। তাঁরা বিড়ি বেঁধে টাকা জমা রেখেছিলেন সংস্থায়।

অভিযোগ, যাঁরা ওই সংস্থার কর্ণধার তাঁরা এলাকাতেই দাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। টাকা ফেরত চাইলে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

প্রতারিত এক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, ক্লাবের উদ্যোগে লক্ষ্মীপূজা হত, কলকাতা থেকে নামী শিল্পীদের এনে জমজমাট অনুষ্ঠান চলত চিটফান্ডের টাকায়। এইভাবে প্রতারিত হতে হবে, তাঁরা ভাবেননি।

খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক মিলন রাউতের বাড়ি তালা বন্ধ। ইতিমধ্যেই কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কিশোরচকের প্রতারিতরা।