Suvendu Adhikari: উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল: শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: এগরা এক নম্বর ব্লকের দুবদাতে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন শুভেন্দু।
এগরা: “উপমুখ্যমন্ত্রীর অফার দিয়েছিল। ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি।” শুভেন্দু অধিকারীর এ মন্তব্য নিয়েই এখন জোর শোরগোল বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা এক নম্বর ব্লকের দুবদাতে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। এদিনের সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। কিন্তু, ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। ওদের দেওয়া সব পদ আমি ছেড়ে দিয়ে এসেছি। শেষে ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রবাদকে বাঁচাতে হবে।”
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক্কর হয় শুভেন্দুর। যদিও শেষ হাসি হেসেছিলেন শুভেন্দুই। তাঁর কাছে ১৯৫৬ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। ভোটের ফলে বিজেপি ধরাশায়ী হলেও বিরোধী নেতা হিসাবে বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু। সেই থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলছে অল আউট অ্যাটাক। এবার তাঁর এই মন্তব্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, মিথ্যা কথা বলছেন শুভেন্দু। পাল্টা তোপ দেগেছেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, “ও নিজেই উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিল। কিন্তু, আমরা কেউ তা চাইনি। ও যা বলছে সব মিথ্যা।” তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। কুণাল ঘোষ টুইটারে স্পষ্ট লিখেছেন, “শুভেন্দুকে কেউ উপমুখ্যমন্ত্রীর অফার দেয়নি। নারদা কেসে সিবিআই ওর নামে এফআইআর করার পর ও সাংবিধানিক পদের আড়াল নিতে ও নিজে ওই পদ চেয়েছিল।”
শুভেন্দুকে কেউ উপমুখ্যমন্ত্রীর অফার দেয়নি। নারদে সিবিআই ওর নামে এফআইআর করার পর ও সাংবিধানিক পদের আড়াল নিতে ও নিজে ওই পদ চেয়েছিল। একজনকে বলেছিল। কিন্তু অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের চারজন এত পদ নিয়েছে যে তখন দল না বলে দেয়। তারপর নিজের গ্রেপ্তারি এড়াতে ও বিজেপিতে যায়।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 5, 2023