Pataspur Minor Marriage: ছাদনাতলায় তখন চলছে সিঁদুর দান পর্ব, আচমকাই বরের হাতে হাতকড়া পরাল পুলিশ!
Pataspur Minor Marriage: নাবালিকার বধূর গোপন জবানবন্দি নিয়েছেন কাঁথি আদালতের বিচারক। বিচারকের নির্দেশে ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: প্যান্ডেল বাঁধা হয়ে গিয়েছে। হাতে মেহেন্দিও। কিন্তু আত্মীয়রাও বাড়িতে আসতে শুরু করেছিলেন। পাত্রীর পরনে উঠেছিল লাল রঙা বেনারসি। এরই মধ্যে একেবারের বিয়ের মণ্ডপে ছাদনাতলায় সিঁদুর দানের আগেই হাজির পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ২ নম্বর ব্লকের ঝরিয়া এলাকায় একটি বিয়ে রুখে দিল পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস। মণ্ডপ থেকেই গ্রেফতার করা হয় পাত্রকে৷ বিয়ের কর্তা ব্যাক্তিরা চম্পট দেন বেগতিক বুঝে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সৈকত মাইতি। ঝরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৈকতকে বুধবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
নাবালিকার বধূর গোপন জবানবন্দি নিয়েছেন কাঁথি আদালতের বিচারক। বিচারকের নির্দেশে ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বরের বাবা-মা সহ গ্রামের মাতব্বর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন। পটাশপুর ২ ব্লকের ঝরিয়া গ্রামের সৈকত মাইতির সঙ্গে পাশের গ্রামের কেকুই গ্রামের এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। নাবালিকা বয়স না হওয়া পর্যন্ত দুই পরিবার বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না৷ কিন্তু মাঝে আসরে নামেন গ্রামের মোড়লরা৷ সেই মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি সংলগ্ন একটি মন্দিরে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন গ্রামের বিশিষ্টজনেরা। নাবালিকা বিয়ে হচ্ছে খবর পেয়ে এরপরই সেখানে হাজির হন বিডিও ৷ বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাত্রকে গ্রেফতার করে৷
পটাশপুর ২ ব্লকের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়ে নাবালিকা বিয়ে আটকানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷’’ পাত্রের বাবা-মায়ের খোঁজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee : শিকল বাঁধা বেজির ছবি তুলে ভাইরাল শ্রাবন্তী, গ্রেফতার হলেন তাঁর চালক