Recruitment Scam: ‘চাকরি দেওয়ার নামে করে ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন’, ২ ইঞ্জিনিয়ার ছেলের থেকে টাকা নিয়ে শোধও করেন, তারপরও পার পেলেন না নেতা!

Recruitment Scam: এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি মোহনের। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Recruitment Scam:  'চাকরি দেওয়ার নামে করে ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন', ২ ইঞ্জিনিয়ার ছেলের থেকে টাকা নিয়ে শোধও করেন, তারপরও পার পেলেন না নেতা!
অভিযুক্ত বিজেপি নেতা নীল জামা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 10:21 AM

হলদিয়া: হলদিয়া শিল্পাঞ্চল-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৩২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। বিজেপি করার জন্যে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি ওই নেতার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রাজ্য জুড়েই চলছে নিয়োগ দুর্নীতিনিয়ে বিস্তর টানাপড়েন। প্রতিদিন নিত্যনতুন অভিযোগ উঠে আসছে। পূর্ব মেদিনীপুরে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার অভিযোগ উঠল। শিল্পতালুক হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৩২ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠছে চণ্ডীপুর চৌখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলিবাড় গ্রামের মোহনলাল মাইতির বিরুদ্ধে। বলিবার বুথের বিজেপির সভাপতি মোহনলাল মাইতির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, শুধু হলদিয়ার শিল্প সংস্থাই নয়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও তিনি টাকা তুলেছিলেন। অশোক জানা নামে বলিবার গ্রামেরই এক বাসিন্দা চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, ছেলেকে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে মোহন সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সে চাকরি হয়নি। টাকাও ফেরত দেননি মোহন। নিমাই বেরা নামে আরেক অভিযোগকারীর বক্তব্য, তিনিও তাঁর ছেলের চাকরির জন্য মোহনকে দিয়েছিলেন ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। ফেরত না পাওয়ায় অভিযোগ দায়ের করেন চণ্ডীপুর থানায়।

মোহনলালের ‘পাস্ট রেকর্ড’ বলছে, তিনি প্রথমে সিপিএম-এর পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এরপরে তৃণমূল এবং তারপরে বিজেপিতে যোগদান করেন। গ্রামের গণ্যমান্য লোক বলে পরিচিত মোহনলাল চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু তাঁর দাবি, তিনি সেই টাকা নন্দীগ্রামের হানু ভুঁইঞা গ্রামের অর্জুন সিংহ নামক এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন। টাকা ফেরতের কথা বলতে অর্জুন ১০ লক্ষ টাকার একটি চেকও দিয়েছিলেন, যেটি বাউন্স হয়। মোহনের বক্তব্য, তিনি ৩২লক্ষ টাকার মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা ফেরতও দিয়েছেন। মোহনের দুই ছেলে বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মরত। তাঁদের থেকেই তিনি টাকা ফিরিয়েছেন বলে দাবি।

এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি মোহনের। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ” তৃণমূল বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করবার জন্যই এই দোষারোপ করছে। এটা নিতান্তই রাজনৈতিক চক্রান্ত। আসলে ওদের দলের নেতা মন্ত্রীরা যেভাবে ফেঁসে যাচ্ছেন, মুখ ঢাকতে এখন অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল।” মোহনলাল মাইতি-সহ আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

চন্ডিপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি নেতারা প্রত্যেকেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। নতুন কিছু নয়। যিনি এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনি কত দুর্নীতি করেছেন এই জেলায়।”

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, “প্রশাসন এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে যে ব্যক্তি টাকা দিয়েছেন বা শোষিত হয়েছেন, তার অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর প্রতারক রা প্রতারকই হয়।” অপরদিকে জেলা বিজেপি নেতা প্রদীপ দাস বলেন, “তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিতে ভরা। তাই অভিযোগ করার পূর্বে নিজের ঘর সামলানোই ভালো।”