লেখা লাল কালিতে সেই কায়দায়, কিন্তু একটা জায়গাতেই বাঁধছে গোল! বন্ধ দোকানের দরজার কোণে সাঁটানো ছিল সেটি…

পুরুলিয়া: লাল কালিতে দেখা, দৃশ্য মাওবাদীদের পোস্টার! কিন্তু আদতে না নয়। অন্তত তেমনটাই মনে করছে পুলিশ। পোস্টারে লেখা, ‘বিজেপি সদস্য তৃণমূল সমর্থন করলে তাঁর হাত কাটা যাবে’। শুক্রবার সকালে ফের রহস্যজনক পোস্টার উদ্ধার হল পুরুলিয়ায় (Purulia)। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালে বরাবাজারের ধেলাৎবেমু অঞ্চলে কয়েকটি পোস্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে তাঁরা দেখে ভেবেছিলেন মাওবাদীদের পোস্টার। […]

লেখা লাল কালিতে সেই কায়দায়, কিন্তু একটা জায়গাতেই বাঁধছে গোল!  বন্ধ দোকানের দরজার কোণে সাঁটানো ছিল সেটি...
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 10:08 AM

পুরুলিয়া: লাল কালিতে দেখা, দৃশ্য মাওবাদীদের পোস্টার! কিন্তু আদতে না নয়। অন্তত তেমনটাই মনে করছে পুলিশ। পোস্টারে লেখা, ‘বিজেপি সদস্য তৃণমূল সমর্থন করলে তাঁর হাত কাটা যাবে’। শুক্রবার সকালে ফের রহস্যজনক পোস্টার উদ্ধার হল পুরুলিয়ায় (Purulia)।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালে বরাবাজারের ধেলাৎবেমু অঞ্চলে কয়েকটি পোস্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে তাঁরা দেখে ভেবেছিলেন মাওবাদীদের পোস্টার। এর আগেও এলাকায় বেশ কয়েকবার মাওবাদীরা পোস্টার ফেলেছিলেন।

কিন্তু পোস্টারে লেখার ধরন দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। তাতে দুটি রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ রয়েছে। মাওবাদীরা সে অর্থে প্রশাসন, সরকারের নীতির বিরুদ্ধেই সরব হন। সেক্ষেত্রে তাঁদের পোস্টারে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ থাকে না। তাছাড়া পোস্টারে একাধিক বানানও ভুল রয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পোস্টারগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশও একপ্রকার নিশ্চিত এই গুলি মাওবাদীদের লেখা পোস্টার নয়। প্রচুর বানার ভুল রয়েছে। লেখার ধরনও মাওবাদীদের মতো নয়। সেক্ষেত্রে এলাকারই কেউ জড়িত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। পুলিশের মতে এলাকার অন্য কেউ এটি করেছে। চাঞ্চল্য উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য।

তবে পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় নতুন করে দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক বিতর্কের। যুযুধান প্রতিপক্ষ একে অপরকে দোষ দিতে ব্যস্ত। বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “মাওবাদীদের অস্তিত্ব সেভাবে নেই। এটা তৃণমূলের কাজ। তৃণমূল হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। ঠিক মতো তদন্ত হলে গোটা বিষয়টিই প্রকাশ্যে চলে আসবে।”

জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, “আমাদের ভয় দেখানো ওত সহজ নয়। বিজেপির লোক এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এটা আগে থেকেই করে আসছে ওরা। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ কিছু হয়নি। তৃণমূল সর্বদাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, সব সত্যি সামনে চলে আসবে।”

উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি ও কিষানজির মৃত্যুর বদলার দাবিতে পোস্টার উদ্ধার হয় পুরুলিয়াতে। বরাবাজার ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পোস্টার উদ্ধার হয়। বেড়াদা, তুমুরশোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই একই ধরনের পোস্টা উদ্ধার হয়। মাওবাদী সপ্তাহে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়। ২২০ জন প্রাক্তন মাওবাদীকে পুলিশে চাকরিও দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশেরই ধারনা, এই ধরনের পোস্টার মাওবাদীদের লেখা নয়। আরও পড়ুন: ‘বাংলায় হিন্দুরা আদৌ সুরক্ষিত? #টিএমসিতালিবান রুল চলছে…’ সন্ন্যাসীর মুখে মদ ঢালায় তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক