Rail Blockade: থামছে না রেল অবরোধ, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

Rail Blockade: অপরদিকে, আন্দোলন নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'রাজ্য সরকার কী করছে? তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন না। সরকার কী করছে? এটা তো গণতান্ত্রিক দেশ।'

Rail Blockade: থামছে না রেল অবরোধ, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি
কুড়মি সমাজের বিক্ষোভ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 5:17 PM

পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম: লাগাতার তিনদিন ধরে চলছে বিক্ষোভ। একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে পথে নেমেছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজ। যার জেরে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা শাখার ট্রেন চলাচল। যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কারোর অফিস যেতে সমস্যা, কারোর আবার স্কুল কলেজ, কেউ আবার মুমুর্ষ রোগীকে নিয়ে যেতে পারছেন না হাসপাতালে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন সরকার হস্তক্ষেপ করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি থেকে সিপিএম সকলে।

সোমবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কুড়মি সমাজের লোকেদের সঙ্গে আমরা আছি। কিন্তু কুড়মি সমাজকে তৃণমূলের তরফে ক্ষেপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছ’সাতটি সংগঠন আছে যাঁরা মূলত বিজেপির অ্যান্টি হিসাবে পরিচিত। তারাই তৃণমূলের অঙ্গুলি হিলনে এই কাজ করছে। কারণ তৃণমূল যেহেতু গোটা জঙ্গলমহলে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে, কারণ জঙ্গলমহল থেকে প্রচুর মানুষ আমাদের নবান্ন অভিযানে এসেছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য এই ইস্যুটাকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’

অপরদিকে, আন্দোলন নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্য সরকার কী করছে? তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন না। সরকার কী করছে? এটা তো গণতান্ত্রিক দেশ।’

লাগাতার বিক্ষোভ চলা নিয়ে আন্দোলনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ তবে চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, কুড়মি জাতিকে তফশিলী উপজাতি তালিকাভুক্ত করা ও আরও কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকাল থেকেই খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে রেল অবরোধ করেন কুড়মি মাহাতো সমাজ।বুধবারের পরও বৃহস্পতিবার চলেছে আন্দোলন। শুধু পুরুলিয়া নয়, এ দিন আন্দোলনের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি এলাকায়। রীতিমত ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে আদিবাসী জনজাতি।যার ফলে লোধাসুলির সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর জেরে সমস্যায় পড়েন হাজার-হাজার মানুষ। ওই রাস্তা দিয়ে বাইক চালাতেও দেওয়া না অবরোধকারীরাও।