Panchayat Elections 2023: মনোনয়ন ঘিরে তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ কর্মীদের ভয় দেখাতে গুলি চালানোর অভিযোগ
ISF in Bhangar: ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে আইএসএফ (ISF) জেলা নেত্রী আসমা খাতুন সহ মোট চারজন মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। আইএসএফ নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি আসমা খাতুনের।
ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে ফের তপ্ত বাংলা। রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের মধ্যেই আবারও গুলি চালানোর অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ ব্লক (Bhangar)। আজ বিডিও অফিসে আইএসএফ (ISF) জেলা নেত্রী আসমা খাতুন সহ মোট চারজন মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। আইএসএফ নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি আসমা খাতুনের। অভিযোগ, বিডিও অফিসের আশপাশের চত্বরেই কেউ বা কারা গুলি চালিয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকেই ভাঙড়-২ ব্লকে দফায় দফায় তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আজ যখন বিরোধীরা মনোনয়ন তুলতে আসে, তখন তাঁদের বার বার বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শত হুমকি ও বাধা অতিক্রম করেই এই চারজন মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। কিন্তু তারপর তাঁরা আর বেরতে পারছিলেন না।
আইএসএফ-এর অভিযোগ, বিডিও অফিস থেকে বেরনোর সময় সেখানকার পরিস্থিতি দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আর সেখানকার চৌহদ্দি পেরোতে পারছিলেন না তাঁরা। অভিযোগ, বিডিও অফিসের চারপাশে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা ঘিরে রেখেছিলেন। ভয়ে এলাকার বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে ফোন করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। আইএসএফের ওই চারজন প্রার্থী-সহ মোট ছয় জনকে অন্য গেটের তালা ভেঙে বের করেন পুলিশকর্মীরা। এরপর পুলিশকর্মীরা তাঁদের ঘিরে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই আতঙ্কের কথা জানালেন আইএসএফ নেত্রী আসমা খাতুন। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমাদের হুমকি দিয়েছে। বলছে, খুন করে দেবে। বিডিও অফিসের বাইরে আমাদের ছেলেরা দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় ওদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।’
যদিও এই গুলি চালানোর অভিযোগের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল শিবির। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের সাফ বক্তব্য, ‘উনি তো বিডিও অফিসে আছেন। আর যেখানের কথা উনি বলছেন, সেটি এক কিলোমিটার দূরে। উনি কীভাবে খবর পাচ্ছেন? পুলিশ প্রশাসন চতুর্দিকে ঘিরে আছে। পুলিশের কাছে খবর এল না, ওনার কাছে খবর চলে গেল যে গুলি চলেছে।’ হাকিমুল যখন সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন আরাবুল ইসলাম তাঁর পাশ দিয়েই বিডিও অফিসের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন। সেই দৃশ্য দেখে নিজের বক্তব্য থামিয়ে ছুটে গিয়ে আরাবুলকে থামান তিনি।