Canning: ঝড়-বাদলের রাতে রাস্তায় পড়ে তরুণী, দুই সিভিক ভলান্টিয়ার যা করলেন…
Canning: দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রতিদিনের মতোই সোমবার প্রাইভেট টিউশন পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়। পথে আচমকাই অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারায় সে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অচৈতন্য এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিল সিভিক ভলান্টিয়ার ও দুই মহিলা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের (Canning) তালদি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী তালদি সুরবালা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ওই ছাত্রীর বাড়ি তালদি পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রত্যেকদিনই ওই ছাত্রী প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায়। সোমবারও টিউশন পড়তেই বাড়ি থেকে বেরোয়। তালদি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যায় সে। পড়া শেষ করে বাড়িতেই ফিরছিল। আচমকা তালদি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জ্ঞান হারিয়ে অচৈতন্য হয়ে রাস্তার উপর পড়ে যায়। এদিকে সে সময় প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। রাস্তা ফাঁকা হতে শুরু করে।
সে সময় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন শম্পা হালদার ও শৈবা হালদার নামে দুই মহিলা। তাঁরাই ওই ছাত্রীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই তাঁরা ছুটে এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। একটি অটোয় করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই দুই মহিলার পাশে দাঁড়ান ক্যানিং থানার সিভিক ভলান্টিয়ার অনুপ মণ্ডল ও সৌমেন মাহাতো।
এদিকে ওই ছাত্রীর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করেন। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পরই ওই ছাত্রী নিজের নাম ঠিকানা জানায়। ওই সিভিক ভলান্টিয়াররাই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাত প্রায় ৯টা নাগাদ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের লোকজন।
বাড়ির মেয়েকে এভাবে রাস্তা থেকে হাসপাতাল অবধি তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই দুই মহিলা ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ধন্যবাদ জানান বাড়ির লোকজন। তাঁদের কথায়, দুর্যোগের রাতে রাস্তায় পড়েছিল মেয়ে। বড় বিপদ হতে পারত। তাঁরা বলছেন, ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা ও দুই মহিলা তাঁদের কাছে যেন ঈশ্বরের দূত।