বাড়ি থেকেই উধাও হয়েছে মেয়ে, একটা কারণেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে প্রতিবেশীর ওপর! পরের ঘটনা মর্মান্তিক
Canning: এরপর ওই মেয়ের বাড়ির সদস্যদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে স্থানীয় যুবক আলি মর্তজা সর্দার নামের এক যুবকের ওপর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়ির মেয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ। কোথায় গিয়েছে ঠাওর করতে পারছেন না অনেকেই। কিন্তু সন্দেহ গিয়ে পড়ে পাড়ারই এক ছেলের ওপর। সন্দেহ দানা বাঁধে, হয়তো ওই যুবকই তাঁদের বাড়ির মেয়েকে ভিন রাজ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। স্রেফ এই সন্দেহেই বছর উনিশের এক কিশোরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল নিখোঁজ মেয়ের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে ওই গ্রামের এক নাবালিকা আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তদন্তে সে ভাবে গতি এগোয় না। পুলিশও কোনও খোঁজ দিতে পারে না।
এরপর ওই মেয়ের বাড়ির সদস্যদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে স্থানীয় যুবক আলি মর্তজা সর্দার নামের এক যুবকের ওপর। পরিবারের সন্দেহ হয়, আলি মর্তজাই তাঁদের বাড়ির মেয়েকে বাইরে বিক্রি করার কাজে যুক্ত রয়েছেন।
আচমকাই এই সন্দেহ গাঢ় হতে থাকে। মঙ্গলবার ওই যুবকটি যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ই মেয়ের বাড়ির লোক চড়াও হন। অভিযোগ, মেয়েটির বাড়ির দুই সদস্যের নেতৃত্বে জনা কুড়ি লোক ওই যুবকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষিও পড়তে থাকে।
মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয় ওই যুবকের। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকেন তিনি। ততক্ষণে খবর পৌঁছয় আক্রান্ত যুবকের বাড়িতেও। ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর বাবা। অভিযোগ, তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনের রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন। গ্রামের অনান্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় আলি মর্তজা সর্দা ও তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সেই মারধরের ঘটনাটি অভিযোগ আকারে থানায় জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশl
আক্রান্ত যুবকের পরিবারের দাবি, ওই মেয়েটি কোনও ছেলের প্রেমে পড়েছিল। তার সঙ্গেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বিনা কারণে তাঁদের বাড়ির ছেলের ওপর সন্দেহ পড়ে মেয়েটির পরিবারের। তাতেই এই হামলা।
আক্রান্তের এক আত্মীয় বলেন, “মেয়ের বাবা-মা আমাদের ছেলেকে গালিগালাজ করছিল। রাস্তায় বেরোতেই মারধর করে। বাবা বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন। ২৫-২৬ জন মারধর করে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের বক্তব্যও শোনা হবে। যদিও ওই মেয়ের পরিবারের কোনও সদস্যই এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। আরও পড়ুন: ‘স্যার আমাকে নোটস বোঝানোর নামে ডাকতেন’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সেই ঘটনা…