Canning Snake: হাতে কামড়, প্লাস্টিকের থলেতে বিষধর সাপকে পুড়ে যা কাণ্ড ঘটালেন এই ব্যক্তি
Canning Snake: মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন স্থানীয় প্রভাকর সর্দার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাঠে কাজ করছিলেন। হাত দিয়ে ফলন সরাচ্ছিলেন। আচমকাই অনুভব করেন, হাতে কিছু একটা কামড় দিল। দাগ দেখেই বুঝে গিয়েছিলেন কীসের কামড়। ফলন সরিয়ে টর্চের আলো ফেলে ভালো করে ছানবিন করে। তারপর খপাৎ করে সেই হাত দিয়েই চেপে ধরেন লেজটা। শূন্যে তুলে দু’পাক ঘোরালেন। ততক্ষণে পাশে থাকা ব্যক্তি একটা পলিথিনের প্যাকেট জোগাড় করে ফেলেছেন। মাথা নীচের দিকে করে আস্ত সাপটিকে একেবারে পলিথিনে ঢোকান। তারপর সেটা হাতে ধরেই সটান হাসপাতালে। প্লাস্টিকের থলেতে আস্ত সাপ নড়তে দেখে ততক্ষণে চক্ষু চড়কগাছ বাকি রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। ডান হাতে কামড় বসানো বিষধর সাপকে ধরে নিয়ে সটান হাসপাতালে চলে গেলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর থানা এলাকায় ধোসা গ্রামে। মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন স্থানীয় প্রভাকর সর্দার।
ওই সেই সময় আচমকাই একটি চন্দ্রবোড়া সাপ ডান হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। যন্ত্রনায় আর প্রভাকরের বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি যে, সাপই কামড়েছে। সেই অবস্থায় ক্ষেতের ভিতর থেকেই ওই সাপটিকে ধরে ফেলেন ব্যক্তি। এরপর সেই সাপকেই প্যাকেটবন্দি করে দাদা রাজারাম সর্দারের সঙ্গেই কোনওভাবে চলে যান বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে হাসপাতালের মধ্যেই বিষধর সাপকে দেখতেই কৌতূহলবশত ভিড় করে অনেকেই। এই প্রসঙ্গে দাদা রাজারাম জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা যাতে সহজেই বুঝতে পারেন ভাইকে কোন ধরণের সাপ কামড় দিয়েছে, তাই সাপটিকে প্যাকেট বন্দি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রভাকর সর্দারকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থায় স্থিতিশীল।