Diamond Harbour Fraud Case: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, ফের পুলিশের জালে ১

Diamond Harbour Fraud Case: ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হুমকি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Diamond Harbour Fraud Case: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, ফের পুলিশের জালে ১
পুলিশের জালে 'প্রতারক' (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 9:02 AM

ডায়মন্ড হারবার: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার এক। শনিবার রাতে কলকাতার গড়ফা বাজার এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মথুরাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মদন বৈদ্য। তিনি মথুরাপুরের কাঁকপুকুরের বাসিন্দা।

ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হুমকি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতকে জেরা করে বাকি দুই অভিযুক্ত বাসুদেব বৈদ্য ও শুভেন্দু বৈদ্যের খোঁজ শুরু করেছে মথুরাপুর থানার পুলিশ।

২০১৯ সালে মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নালুয়া অঞ্চলের কাঁকপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সাবিন মন্ডলকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দু’দফায় প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকার বাসিন্দা মদন বৈদ্য সহ তিন জনের বিরুদ্ধে। এমনকি চাকরিপ্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাঠানো হয়েছিল।

সেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লটার নিয়ে চাকরিপ্রার্থী সাবিন মন্ডল প্রাইমারি স্কুল বোর্ডে গিয়ে জানতে পারেন, লেটারটি ভুয়ো। গোটা ঘটনা জানতে পেরে মদন বৈদ্যের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে সবিনকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই মথুরাপুর থানার দ্বারস্থ হন সাবিন মন্ডল। অভিযুক্ত মদন বৈদ্য, বাসুদেব বৈদ্য ও শুভেন্দু বৈদ্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরিস্থিতি খারাপ বুঝতে পেরে অভিযুক্তরা কলকাতার গড়ফা এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে। অভিযোগকারী সাবিন ছাড়াও একাধিক ব্যক্তির থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ।

প্রতারিত ব্যক্তির কথায়, “আমাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ৬ লক্ষ টাকা নিল। আবার একটা অ্যাপয়মেন্ট লেটারও দিল। কিন্তু পরে দেখি সে তো ভুয়ো।”

আরেক প্রতারিক ব্যক্তি বলেন, “কথা বলে তো বুঝতেই পারিনি। এমন করে কথা বলেছিল যে ভরসা হয়েছিল। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে বুঝতি পারি, কী কেস!”

আইনজীবী বলেন, “এই ধরনের ব্যক্তি এখন অনেক দেখা যাচ্ছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছে। কিন্তু মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।”

আরও পড়ুন: Weather Update: ঠান্ডার পথে কাঁটা! সকালে হিমেল পরশ, বেলা বাড়লেই কেন লাগছে গরম? কবে পড়বে শীত?

আরও পড়ুন: Allegations of medical negligence: ‘ওপেন হার্ট সার্জারির পর দেখতে এলেন না কোনও সিনিয়র চিকিত্‍সক’, কাঠগড়ায় শহরের বড় বেসরকারি হাসপাতাল