Fake Doctor: নকল ডিগ্রি নিয়ে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা, এলাকাবাসীর সন্দেহ হতেই পুলিশের হাতে ভুয়ো ডাক্তার
South 24 pargana: ওই ভুয়ো চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি ডাক্তার নন। তাঁকে জোর করে এনে বসানো হয়েছে।
মগরাহাট: এ যেন ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হওয়ার দশা। কে যে আসল আর কে নকল অফিসার, গুলিয়ে ফেলছেন মানুষ। সেই কসবার (Kasba) দেবাঞ্জন কাণ্ড থেকে শুরু। তার পর নিয়মিত ভাবে রাজ্যে গ্রেফতার হচ্ছে ভুয়ো সিবিআই, ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো বিচারক, ভুয়ো সেনা অফিসার, ভুয়ো ডিআইজি, ভুয়ো আইপিএস বেরিয়েছে এ রাজ্যে। এই তালিকা দীর্ঘ। একবার গুনে শেষ করা যাবে না গত কয়েক মাসে ভুয়ো গ্রেফতারির তালিকা। ফের সেই তালিকায় আবার ধরা পড়ল এক ভুয়ো চিকিৎসক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত লুইজ ফিলিপ কলকাতার পার্কসার্কাসের বাসিন্দা। অভিযোগ, ডাক্তারি প্যাডে নকল ডিগ্রী ছাপিয়ে গত একমাস ধরে মগরাহাট ও ধামুয়া এলাকার দু’টি মেডিক্যাল হলে সপ্তাহে একদিন করে রোগী দেখেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হতেই সপ্তাহ খানেক আগে। তাঁর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মগরাহাট ২ নম্বর ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ব্লক মেডিকেল অফিসার ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। এরপরই তিনি মগরাহাট থানায় ভুয়ো চিকিৎসক লুইজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই ওষুধের দোকানের এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা জানতাম না। ডাক্তারবাবু গত একমাস হল আমাদের এখানে রোগী দেখছেন। উনি বলেছিলেন আমি এখানে বসব। সেই সুবাদে আমরা আমরা ওনার কাছে যাবতীয় নথিপত্র দেখতে চাই। কিন্তু উনি আমাদের বলেন যে আগে বসতে দিন তারপর সমস্ত নথিপত্র দেখাব। আমরাও ওনার কথামত তাই করলাম। সপ্তাহে একদিন বসতেন। এনিয়ে মোট আটজনকে দেখেছেন। ” অপরদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ভুয়ো ডাক্তার জানান, “এক মেডিক্যাল ডিসট্রিবিউটার আমায় ডেকে এনে বসিয়েছিল এখানে। আমি ডাক্তার নই। শুধুমাত্র প্রাকটিস করি মাঝেমধ্যে। ”
ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪১৭, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারা সহ আরডব্লু ১৫ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ও ২৯ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের পিছনে জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন আগে সুদীপ্ত সর্দার নামে অন্য এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চেম্বার খুলে বসেছিলেন মাঝবয়সী এই সুদীপ্ত সর্দার। ভালই পসার জমিয়ে বসেছিলেন। রমরমিয়ে চলছিল ‘ব্যবসা’। কিন্তু কতদিন আর চাপা থাকে পাপ! তাঁর কুকীর্তির কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলায়। অভিযোগ যায় পুলিশের কাছে। আসল চিকিৎসক সুদীপ্তবাবু বড়জোড়া থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে বড়জোড়া থানার পুলিশ যখন তাঁকে খুঁজতে বেরিয়েছেন এই ‘চিকিৎসক’ তখন বেপাত্তা। খোঁজ-খোঁজ, অবশেষে ‘সর্দারজি’ কে পাওয়া গেল জলপাইগুড়িতে।
আরও পড়ুন: liquor shops: মদের দোকান পুড়িয়ে ‘সুরিদের’ সাবলম্বী করতে সাহায্য গ্রামবাসীদের!
আরও পড়ুন: NRS Hospital: অধ্যক্ষ সহ একদিনে এনআরএসে আক্রান্ত ১৯৮, কী ভাবে চলবে হাসপাতাল? উঠছে প্রশ্ন